ভাটারার একটি ভবন থেকে উদ্ধারকৃত অর্ধগলিত লাশটি হাজারীবাগ এলাকা থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের (৪০)। পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। তিনি ছয় দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
রবিবার (২৮ জুন) ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসকান্দার আলী সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত-রাত সাড়ে বারোটা দিকে পূর্ব সাঈদ নগর এলাকার আনোয়ার সাহেবের একটি ৩য় তলা ভবনের ২য় তলার ভাড়াটিয়ার কক্ষের খাটের নিচ থেকে অর্ধগগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। মৃতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রথমে তার পরিচয় পাওয়া না গেলেও রবিবার দুপুরে মৃতের স্ত্রী মিনারা বেগমসহ আত্মীয় স্বজনরা ঢামেক মর্গে এসে লাশ সনাক্ত করেন।
জামালপুর সদর উপজেলার কম্পপুর গ্রামের মো. নাসিম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
বর্তমানে পরিবারের সাথে হাজারীবাগ মনেশ্বর রোডের নয় নম্বর লাইনের ১৪১ নম্বর বাড়িতে থাকতেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশের ঐ কর্মকর্তা বলেন, সাইফুল পেশায় ব্যাবসায়ী গত ২৩ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজখবর নিয়েও তার সন্ধান পাননি তারা। আজ মর্গে এসে শনাক্ত করেন। কেন, কারা, কি কারণে, তাকে ঐ বাসায় নিয়ে হত্যা করেছেন, সেই সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য দিতে পারেননি তারা। তিনি বলেন যে বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঐ বাসার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঐ রুমটিতে নতুন ভাড়াটিয়া ছিল, এমনিতে লোকজন আসা যাওয়া ছিল। গত কদিন যাবত বন্ধ ছিল।
পুলিশের কর্মকর্তার ধারণা সাইফুলের পরিচিত ছিল তারা। কোনও কারণে সেখানে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে, লাশ খাটের নিচে রেখে তারা পালিয়ে গেছেন। মৃতদেহটি যখন পঁচে দুর্গন্ধ বের হয় সংবাদ দেন আশেপাশের লোকেরা।
তিনি বলেন, পুরো বিষয় তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তে পুরো ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে। আর ময়নাতদন্তের পর মুত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।