গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের কাঁচা দুধ খেতে মানা করেছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে একথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ যত্ন নেবেন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য যেমন—টাটকা ফল, শাকসবজি, আমিষ সমৃদ্ধ খাবার, বিভিন্ন প্রকার ডাল, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ খেতে দেবেন। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গর্ভকালীন সময়ে বেশি পরিমাণে খাবার দিতে হবে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গর্ভকালীন প্রথম তিন মাসে ১০০-২০০ ক্যালরি, দ্বিতীয় তিন মাসে ২০০-৪০০ ক্যালরি এবং শেষ তিন মাসে ৪০০ এর বেশি ক্যালরি খাবার গর্ভবতী মায়েদের প্রয়োজন। গর্ভবতী মায়েরা প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হবেন না। একান্ত প্রয়োজন হলে লোকসমাগম বেশি আছে এমন স্থান যেমন মার্কেট, বাজার-হাট ইত্যাদি এড়িয়ে চলবেন। তবে ঘরে থাকলেও নিয়মিতভাবে হাঁটাহাঁটি করবেন এবং হালকা ব্যায়াম করবেন। বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর বাড়ির সবাইকে সাবান পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। পরস্পরের মধ্যে তিন ফুটের অধিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, মাছ, মাংস ও ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে এবং কাঁচা দুধ খাওয়া যাবে না। খাওয়ার পূর্বে ফলমূল এবং রান্নার পূর্বে শাকসবজি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। পরিবারের কেউ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে গর্ভবতী মা তার সংস্পর্শে আসবেন না।
নাসিমা সুলতানা জানান, বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও দেশের সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গর্ভবতী মায়েদের জন্য সকল সেবা চালু আছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আপনার নিকটস্থ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান হতে কমপক্ষে চারটি প্রসবপূর্ব সেবা বা গর্ভকালীন সেবা নিন।
গর্ভকালীন পাঁচটি বিপদ চিহ্নের কথা তুলে ধরে বলেন, চোখে ঝাপসা দেখা বা তীব্র মাথাব্যথা হওয়া, খিঁচুনি হওয়া, প্রসবের পূর্বে হঠাৎ রক্তপাত হওয়া, ভীষণ জ্বর হওয়া এবং প্রসব বিলম্বিত হওয়া এগুলোর যেকোনও একটি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গ নিকটস্থ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।