ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছে করোনা অ্যান্টিবডি কিটের অস্থায়ী নিবন্ধন চেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ‘জি আর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, আমাদের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্টকে আমলে এনে অ্যান্টিবডি কিটের অস্থায়ী নিবন্ধনের আবেদন করেছি।
ডা. মুহিবুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে আমাদের নিজস্ব ল্যাবে অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় সংবেদনশীলতা (সেনসিটিভিটি) ৯৭ শতাংশ এসেছে। তার রিপোর্ট সোমবার (৬ জুন) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট আমলে নিয়ে অ্যান্টিবডি কিটের অস্থায়ী নিবন্ধনের আবেদন করেছি। যাতে এই দুর্যোগের মুহূর্তে কাজ করতে পারি।
সোমবার এক সংবাদ বিবৃতিতে ডা. মুহিবুল্লাহ বলেন, গতকাল (৫ জুলাই) বৈঠকে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক আমাদের কথা ইতিবাচকভাবে শুনেছেন এবং সর্বাত্মক সহায়তা করতে চেয়েছেন। বৈঠকে আইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর এবং উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা অ্যান্টিবডি কিটের উন্নত সংস্করণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে আমাদের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্টের সারাংশ এবং অ্যান্টিবডি ডিজাইন ডসিয়েস ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিয়েছি। ওষুধ প্রশাসন কিটের উন্নত সংস্করণ বিদ্যমান সরকারি নিয়মে কনটাক্ট রিসার্চ সংগঠনের (সিআরও) মাধ্যমে আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন করতে বলেছে। সেই নিয়মে পরীক্ষা করার জন্য আমাদের বর্তমান সিআরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) জানাবো। তবে তারা না করতে পারলে আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর,বিতে যাবো।
বর্তমানে অ্যান্টিজেন কিটের কোনও নীতিমালা নেই উল্লেখ করে ডা. মুহিবুল্লাহ বলেন, আগামী বুধবার (৮ জুলাই) ওষুধ প্রশাসনের নীতিমালা ফাইনাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তারা আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) মতো একটা ফরম্যাট পাঠাবে। সেই অনুযায়ী প্রটোকল আপডেট করে জমা দিতে বলা হয়েছে।