X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ জুলাই ২০২০, ১৮:১৫আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২০, ১৮:১৭

অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

এমপিওভুক্ত ৩১৫টি বেসরকারি কলেজের নন-এমপিও অনার্স-মাস্টার্স স্তরের চার হাজার শিক্ষককে এমপিওভুক্তির দাবিতে  করোনার পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স- মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম।

এর আগে গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খোলা চিঠি দেন বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ।

বুধবার (৮ জুলাই) মানববন্ধন ও সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স- মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের নেতারা জনবল কাঠামোতে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির দাবি জানান।

সমাবেশে নেতারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয় না। কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হলেও কয়েকমাস ধরে তাও দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া দেশের বেশিরভাগ কলেজ থেকে কোনও টাকাই দেওয়া হয় না।  এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিগত ২৮ বছরে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মে যোগদান করেছেন। অথচ শিক্ষকরা মানবেদন জীবন-যাপন করছেন।

বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক নেকবর হোসাইনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অংশ নেন সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মোস্তাফা কামাল, সদস্য সচিব মো. মেহরাব আলী, সংগঠনের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, আলাউদ্দিন সোহাগ, সৈয়দ কামরুল হাসান লিপু, সুকমল সেন, হারুনর রশিদসহ শিক্ষক নেতারা।

এদিকে, গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো খোলা চিঠিতে বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের পাবনা জেলার সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা কানিজ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা আমাদের কোনও টাকাই দেন না। শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ৩১৫টি কলেজের চার হাজার শিক্ষক ২৮ বছর ধরে বিনা বেতনে তাদের সংসার চালাচ্ছেন।’

এই পরিস্থিতিতে দ্রুত জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিও দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ফাতেমা কানিজ।

বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সভাপতি সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন (ভারপ্রাপ্ত) এবং সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মণ্ডল জানান, জনবল কাঠামো অনুযায়ী ডিগ্রিস্তর পর্যন্ত পারিচালিত এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্সের অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে শিক্ষকদের মূল বেতন দেওয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় অনুমোদন নেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতনভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এই পর্যায়ে কলেজগুলোর জনবল কাঠামোতে স্থান পায়নি অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকের পদ। ফলে সরকারি বিধিবিধানের আলোকে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন তারা।

দেশের ৫ শতাধিক কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। তবে গত কয়েক বছরে দুই শতাধিক কলেজ জাতীয়করণ করে সরকার। এখনও বাকি রয়েছে ৩১৫টি কলেজ।

 

/এসএমএ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা