X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

শিগগিরই প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

এস এম আববাস
০৯ জুলাই ২০২০, ১৩:৩৫আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২০, ১৫:৩৯

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে শিগগিরই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী আগস্ট মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। স্নাতক ছাড়া কেউ আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘২৬ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রস্তুত করতে মহাপরিচালককে বলা হয়েছে। আমরা শিগগিরই নতুন করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবো।’

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, ‘২৬ হাজারের বেশি নতুন পদ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি আগের শূন্যপদ রয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার। প্রতিনিয়তই পদ শূন্য হচ্ছে। এছাড়া অনেক শিক্ষককে আমরা প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দিয়ে রেখেছি। এক মাসের মধ্যে সেগুলো চূড়ান্ত করার চেষ্টা করবো। তাহলে শূন্য পদের সংখ্যা আরও বাড়বে। ’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে রয়েছেন ১৮ হাজার শিক্ষক। তাদের বিষয়টি নিষ্পত্তি হলে আরও ১৮ হাজার পদ শূন্য হবে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মোট ৫৪ থেকে ৫৬ হাজার পদ শূন্য হবে আগস্টের মধ্যে।

কতটি শূন্য পদের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিতে কত সংখ্যক নিয়োগ দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হয় না। ’

কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে জানতে চাইলে মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, ‘আমরা এ মাসের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছি। করোনার কারণে আমাদের কাজে সমস্যা হচ্ছে। এ মাসে না পরলে পরের মাসে যেতে হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুজিববর্ষে সব শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি। প্রাক-প্রাথমিকে নতুন করে পদ শূন্য হয়েছে ২৬ হাজারের মতো।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এর মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে।

এই দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নির্বাচিত না হওয়ায় নিয়োগ পাননি ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী। উত্তীর্ণ এসব প্রার্থী ২০১০-২০১১ সালের মতো প্যানেল নিয়োগ চান। তবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘প্যানেলে নিয়োগ দেওয়া হবে না।  নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।’

/এমএএ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিচার-সংস্কার ও নতুন সংবিধান রচনা বাদে নির্বাচন হলে আমরা অংশ নেবো না: নাহিদ
বিচার-সংস্কার ও নতুন সংবিধান রচনা বাদে নির্বাচন হলে আমরা অংশ নেবো না: নাহিদ
ভোট ছাড়াই চেয়ার দখল করতে বগুড়া চেম্বারের কার্যালয়ে তালা
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিভোট ছাড়াই চেয়ার দখল করতে বগুড়া চেম্বারের কার্যালয়ে তালা
ফিরে দেখা: ৩ জুলাই ২০২৪
ফিরে দেখা: ৩ জুলাই ২০২৪
টিভিতে আজকের খেলা (৩ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৩ জুলাই, ২০২৫)
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কেমন কেটেছিল ডিবি হেফাজতে ছয় সমন্বয়কের সাত দিন
কেমন কেটেছিল ডিবি হেফাজতে ছয় সমন্বয়কের সাত দিন