X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনা পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান: পেশা বদলাবে, বাড়বে প্রযুক্তির ব্যবহার

উদিসা ইসলাম
২৩ জুলাই ২০২০, ২৩:৫৮আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২০, ০০:৩৩

এমন দাফতরিক কর্মপরিবেশ থাকবে না অনেকের, ছবি- সংগৃহীত প্রায় চার বছর আগে ভিন্নধর্মী একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন সায়েদা রহমান। নয় জন কর্মী নিয়ে আড্ডার মতো একটা জায়গা করে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে হাজির হতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের থাবায় তার রেস্টুরেন্টটি তিন মাস বন্ধ থাকে। এরপর এখন তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আর পেরে উঠছেন না। নয় কর্মীকে প্রথম দু’মাস বেতন দিলেও এখন পুরোপুরি বন্ধ সব কার্যক্রম। আইসোলেশনের দিনগুলোতে সারাক্ষণ ভেবেছেন সুস্থ হওয়ার পরে কী করবেন। নিজের গাড়ি না থাকায় তার উবার চালক স্বামীও বেকার।


বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেহেদী হাসানকে জুন মাসে অফিস জানিয়ে দেয় নতুন চাকরি খোঁজার কথা। হঠাৎ মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে— কী করবেন চল্লিশ বছর বয়সে এসে। এরপরই পরিবারের পরামর্শে যোগাযোগ করেন গ্রামের বন্ধুদের সঙ্গে। কার বাড়ির কোন পণ্য ভালো, খোঁজ নিয়ে খুলে ফেলেন অনলাইনে তরতাজা খাবারের ব্যবসা। শুরুতে যে তিন লাখ টাকা ব্যয় করলেন সেটি তার আগের চাকরি থেকেই উপার্জিত।
এমন বাস্তবতায় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে দেশীয় শ্রমবাজার যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা নিয়ে ইতিবাচক কথা বলছেন না অর্থনীতিবিদরা। করোনা দুর্যোগে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানার উৎপাদন যেমন সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে, তেমনি এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় ও কর্মসংস্থানের ওপর।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনীতি যখন সংকটে আছে তখন কর্মসংস্থান চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু তাই বলে সবটা নষ্ট হয়ে যায়নি। কৃষি খাতে নতুনদের ধারণ করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে, সেবা খাতে অনলাইনের কারণে অনেক বেশি সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং শিল্প খাতে বিদ্যমান অবস্থাকেই ধরে রাখার চেষ্টা আছে। গ্রাম ও কৃষিকে ঘিরে অনেক বেশি সম্ভাবনা দেখছেন তারা।
কর্মসংস্থান পরিস্থিতি কী
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি বলছে, ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে সাধারণ ছুটির সময় বাংলাদেশের তিন কোটি ৬০ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বিআইডিএসের সাম্প্রতিক জরিপে বলা হচ্ছে, করোনায় এক কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। তাই এখন দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি। ১৩ ভাগ মানুষ ফরমাল সেক্টর থেকে চাকরি হারিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা দুর্যোগ শুরুর আগেও বাংলাদেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি সুখকর ছিল না। বেকারের সংখ্যা ও হার বাড়ছিল। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, ডেটা সেন্স ও উন্নয়ন সমুন্বয়ের এক যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রায় ৩৫ শতাংশ পরিবারে কমপক্ষে একজন সদস্য চাকরি হারিয়েছেন। ১৪ লাখের বেশি প্রবাসী শ্রমিক বেকার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন অথবা ফেরার পথে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে মানুষ পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে। পেশার ধরন বদলে যাবে। মানুষ জীবনঘনিষ্ঠ পেশার সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত হবে।
বাজেটে কী আছে
করোনা মহামারিতে চরমভাবে বিপর্যস্ত মধ্য ও নিম্ন পেশার মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান। দেশব্যাপী ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি, কলকারখানা বন্ধ ও ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির থাকায় ১৪ লাখ লোক বেকার হতে পারেন বলে এডিবিকে উদ্ধৃত করে বক্তৃতায় জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এ বিভীষিকার হাত থেকে মুক্ত করে কর্মসংস্থান খাতকে চাঙ্গা করতে দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি উদ্যোগগুলো কী
অর্থমন্ত্রী বাজেটে বলেছেন, করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য সরকার যে বৃহৎ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রধান লক্ষ্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চারের মাধ্যমে সাময়িক কর্মহীনতা দূর করা। সরকার তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করেছে। শিল্প সেক্টরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার ও কুটিরশিল্পসহ এসএমই প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা চালু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রফতানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। গ্রামের দরিদ্র কৃষক, বিদেশফেরত শ্রমিক, তরুণ ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জেলায় নতুন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ফিরে চল মাটির টানে
কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে খরচ করতে পারলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষ গ্রামমুখী হবে, শহর কেন্দ্রিকতা কমবে, সংক্রমণও কমবে বলে মত দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।  কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে এই খাতে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তারা। তারা বলছেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডমুখী করার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশান নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুনরূপে সাজানো সম্ভব।
কর্মসংস্থান নিয়ে সিআরআই
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) বলছে, সারা বিশ্বের মতোই করোনাভাইরাসের এই মহামারির প্রভাবে বাংলাদেশেও স্থায়ীভাবে কর্মসংস্থান হারাতে পারে ৬০ লাখ মানুষ। তারা করোনা পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থানের এই সমস্যা মোকাবিলায় গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে ইতোমধ্যে পাঁচ প্রস্তাবনা প্রদান করেছে। তাদের মতে, এক বছরের মধ্যে এই সমস্যা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। অঞ্চলভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ উদ্যোগকে ফাস্ট ট্র্যাকে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর জোর দিয়েছে সংগঠনটি।
অর্থনীতিবিদরা কী বলছেন
কর্মসংস্থানকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন সব শেষ হয়ে যায়নি।  তারা কৃষিতে সম্ভাবনা দেখছেন। সেখানে নতুন উদ্যোক্তাদের ধারণ করার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে, শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি না হলেও বিদ্যমানটি ধরে রাখার চেষ্টা আছে। তবে তারা সেবা খাতে বড় সম্ভাবনা দেখছেন। অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘অনলাইনের কারণে সেবা খাতে নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। অনলাইনে অনেক সম্পৃক্ততা বেড়েছে। একটি অনলাইন উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছে একাধিক সেক্টরের লোকজন। সফটওয়্যার ডেভলপার, ডেলিভারিম্যান, ওয়েব ডিজাইনার, প্রচারণার জিনিস তৈরি করতে প্রডাকশন হাউজ, ডেলিভারিম্যান সবার সম্পৃক্ততা লক্ষ করা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থান হয় অর্থনীতিতে যত কাজকর্ম হবে তার ওপর। সরকারের যে কর্মসংস্থান সেটি সীমিত। এখন অর্থনীতি সংকটে আছে যেহেতু, সেহেতু কর্মসংস্থানটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে করোনার জন্য কৃষিতে এখন পর্যন্ত ক্ষতি হয়নি। বরং কৃষি খাত অন্যদের ধারণ করছে। শিল্প খাতে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা কম, তবে ধরে রাখার চেষ্টা আছে। পণ্যের উৎপাদন পরিবর্তন করছেন প্রয়োজন বিবেচনা করে। দক্ষতা বিবেচনায় এক দলের চাকরি গেলে সেই জায়গায় আরেক দল যুক্ত হচ্ছে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা কাজ হারিয়েছেন, যাদের খাবারের নিরাপত্তা হুমকিতে, তাদের জন্য সরকার জায়গা তৈরি করে দিতে পারে। ইজিপিপির মাধ্যমে যেসব কাজ হয় সেসব বাড়াতে হবে। যাতে গ্রামের মানুষের হাতে টাকা থাকে। সরকারের ঘোষণা এসেছে, সংসদ সদস্যদের এলাকায় কাজ করার জন্য ২০ কোটি করে টাকা দেওয়া হবে। এই অর্থে যেন মানুষের কর্মসংস্থান হয় সেই শর্ত জুড়ে দেওয়া যেতে পারে।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান মনে করেন, আনুষ্ঠানিক সেক্টরকে শক্ত পায়ে দাঁড় করাতে না পারা পর্যন্ত নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে হয়তো টিকে থাকা যাবে, কিন্তু টেকসই শ্রমবাজার মিলবে না। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আগে চাপে পড়েছিলেন অনানুষ্ঠানিক সেক্টরের কর্মীরা, তারা এখন কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। আনুষ্ঠানিক সেক্টরের কর্মীরা পরে চাপে পড়েছেন এবং এখনও ফেরার সুযোগ হয়নি। প্রশ্ন হলো, যে লোক আগে রিকশা চালাতেন তিনি এখানে আয় করতে না পেরে এখন আপাতত অন্য কোনও কাজ করছেন। তিনি কি আবারও তার আগের কাজে ফিরতে পারবেন? কিংবা একজন গার্মেন্টসকর্মী, যিনি চাকরি হারিয়ে অন্য কিছু করছেন, তিনি আবারও ফিরবেন কিনা? ফলে কর্মসংস্থানের কাঠামোগত পরিবর্তন হবে কিনা সেটাও দেখার বিষয় আছে।’
তিনি বলেন, ‘দেখার বিষয় হলো, অর্থনীতি কত তাড়াতাড়ি করোনা মোকাবিলা করে ফিরবে। করোনার ভেতরে থেকে ফিরতে গেলে খুব বেশি ফল পাওয়া যাবে না। ফলে সেটি মোকাবিলার বিষয়ে ভাববার আছে।’ সম্ভাবনার জায়গা কৃষি খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারপরও কৃষি পুরোটা ধারণ করতে পারবে না। আর বিক্রেতা-ক্রেতা উভয় দিকেই প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতা নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।’
সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘করোনাকালে যারা বেকার হয়েছেন তাদের ধরে এনে চাকরি দেওয়ার পদ্ধতি সরকারের কাছে নেই। তবে অর্থনীতি চাঙ্গা হলে বেকার বা চাকরি হারানো ব্যক্তিরা আবার তাদের আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারবেন। তবে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াটা কঠিন ব্যাপার। আমরা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছি।’ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য সরকার এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সেই টাকা অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে যখন যাবে তখন অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। আস্তে আস্তে অর্থনীতি স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসছে। বিভিন্ন পেশার লোক যারা ঢাকা ছেড়ে গিয়েছিলেন তারা ফিরতে শুরু করেছেন। এটাকে আমি একটি ভালো দিক বলে মনে করি।’ তিনি বলেন, ‘যখন মানুষ কাজের মধ্যে যুক্ত হবে তখন তার হাতে টাকা চলে আসবে।’

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!