X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করেন না দেশের ১৮ শতাংশ মানুষ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ জুলাই ২০২০, ২০:০৩আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২০, ২০:৩০

‘নিউজ লিটারেসি ইন বাংলাদেশ: ন্যাশনাল সার্ভে’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান দেশের ১৮ শতাংশ মানুষ কোনও সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করেন না। ৪৩ শতাংশ মনে করেন, তাদের সংবাদমাধ্যম ব্যবহারের সময় নেই। আর সাড়ে ১১ শতাংশ মানুষের সংবাদমাধ্যমের ওপর বিশ্বাস নেই। সোমবার (২৭ জুলাই) এক ভার্চুয়াল সভায় ‘নিউজ লিটারেসি ইন বাংলাদেশ: ন্যাশনাল সার্ভে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।  সম্প্রতি সংবাদবোধ বিষয়ে ওই গবেষণাটি করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমআরডিআই ও ইউনিসেফ। 

অনুষ্ঠানে সুপারিশসহ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরী। 

১৩০০ জনের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই গবেষণায় বলা হয়, দেশের ২৪ শতাংশ মানুষের সংবাদবোধ ভালো, আর ৭৬ শতাংশের সংবাদবোধ কম। বয়স্কদের চেয়ে তরুণদের মধ্যেই সংবাদবোধ বেশি। দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষের ফেক নিউজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া ফেক নিউজের প্রবণতা শহুরে এলাকার থেকে গ্রামীণ এলাকায় বেশি। সংবাদের জন্য টিভি বেশি ব্যবহার করাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি।

গবেষণায় আরও বলা হয়, সংবাদবোধের মাধ্যমে মানুষ কোনটি গণমাধ্যম ও কোনটি গণমাধ্যম নয় সেটার পার্থক্য করতে পারে। এতে ‍সুপারিশ করা হয়, সংবাদবোধ বাড়াতে তথ্য বেশি সহজলভ্য করতে হবে এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সংবাদবোধ বাড়ানোর জন্য ফ্রেমওয়ার্কও দরকার এবং সেজন্য সরকার, এনজিও ও মিডিয়াকে একত্রে কাজ করতে হবে। 

সাংবাদিকতায় আসতে হলে সাংবাদিকতার মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে। সঠিক তথ্য বোঝার জন্যও নিউজ লিটারেসি দরকার।

সংবাদবোধ শেখানোর বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়, স্কুল থেকে এইচএসসি পর্যন্ত যেকোনো পাঠ্যক্রমে সংবাদবোধ শেখানো যেতে পারে। শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট দেওয়ার জন্যও সঠিক ও বেঠিক তথ্যর পার্থক্য চেনানো জরুরি।

গবেষণা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘এখনও আমাদের দেশে গণমাধ্যমে নারীদের অংশগ্রহণ কম। কেন কম, সেদিকে নজর দিতে হবে। অনেকে নিউজ করতে গিয়ে হ্যারাসমেন্টের শিকার হন। সেজন্য তারা ঝরেও পড়েন।’

ড. গীতিআরা নাসরিন বলেন, ‘কোনটা সংবাদ এবং কোনটা সংবাদ না, তা সাংবাদিক ও সংবাদ ভোক্তার জন্য বোঝা জরুরি। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি বিকাশ ঘটায় সংবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকেই দ্রুত সংবাদ পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাচ্ছেন। মানে অ্যাকিউরেসির থেকে স্পিড বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।’ 

সবশেষে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘বর্তমানে অনেক সময় সংবাদের মূল্যায়ন হচ্ছে না। ভুল তথ্যে প্রভাবিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সেজন্য এই সময়ে নিউজ লিটারেসি জানা খুব দরকার। সব কিছুই বদলাচ্ছে। প্রিন্ট মিডিয়াও এমন থাকবে না। তাই নতুন ফরমেটে কীভাবে কাজ করা যাবে, তা আমাদের ভাবতে হবে।’

 

 

/এসএমএ/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
গ্লোবাল স্কিলস ফোরামে বক্তারাবাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট কাল
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট কাল
তীব্র গরমে পানি চাইতে চাইতেই ট্রাফিক পুলিশের মৃত্যু
তীব্র গরমে পানি চাইতে চাইতেই ট্রাফিক পুলিশের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা