সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল প্রত্যাশীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরতে চান না। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ষষ্ঠ দিনের মতো তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে জাতীয় প্রেসক্লাসের সামনের রাস্তায়।
গত ১১ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঘোষণা দিয়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন প্যানেল প্রত্যাশীরা। তাদের একাংশ জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সেখানে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ করে তাদের উঠিয়ে দেয়। এরপর তারা প্রেসক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শুক্রবার বিকালে অবস্থান কর্মসূচি থেকে ২০১৮ সালের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে পুলিশ লাঠি চার্জ করে আমাদের উঠিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন সবাই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। আজ ষষ্ঠ দিনের কর্মসূচি চলছে। লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলবে। ’
প্যানেল প্রত্যাশীরা জানান, ২০১৮ সালের নিয়মিত শিক্ষক বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আবেদন করেন ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ জন। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। শূন্যপদ বাকি রেখেই নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির অপেক্ষায় থাকলেও তাদের বিষয়ে কোনও বিবেচনা করা হয়নি।
অন্যদিকে, ২০১৪ সালে স্থগিত করা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জন প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে রাজধানীসহ জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন। সংসদ সদস্যদের ডিও নিয়ে মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে আবেদন জানান তারা।