X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রূপপুর বালিশকাণ্ডের ৩ মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১০আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২০, ২৩:২৯

সুপ্রিম কোর্ট

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ভবনের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাব ও অন্য সামগ্রী কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতির তিন মামলার তদন্ত কার্যক্রম আগামী ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। আর এক আসামি শফিকুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

একইসঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে তিন মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট। পাশাপাশি তার জামিনের বিষয়ে জারি করা  রুল  ছয় মাসের জন্য মুলতবি রেখেছেন আদালত।

এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রূপপুরে বালিশকাণ্ডের দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। পরে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে জড়িত গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলমসহ ৯ জনকে আসামি করে দুদকের পাবনার উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন গত ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি প্রকল্পের ১৩ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আলাদা চারটি মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই চারটি মামলা করেন।

শফিকুল ইসলাম ছাড়াও এসব মামলায় গ্রেফতার অন্য আসামিরা হলেন—গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবির, মোস্তফা কামাল, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সুমন কুমার নন্দী, আবু সাঈদ, রওশন আলী ও তাহাজ্জুদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী তারেক, আমিনুল ইসলাম ও সাজিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শাহাদত হোসেন ও আসিফ হোসেন।

দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে বালিশকাণ্ডের অনুসন্ধান করে দুদকের উচ্চপর্যায়ের একটি টিম। তদন্ত শেষে কমিশনে তারা সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করে।

আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী কেনাকাটার অনিয়মে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রথম দফায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে দুদকের অনুসন্ধান শেষে ১৩ জনকে আসামি করা হয়।

রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে গত ১৭ অক্টোবর অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক। ওইদিন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে সংস্থাটি।

রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেসব প্রতিবেদনে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, খাট, বিছানা, ওয়্যারড্রোব, বৈদ্যুতিক চুলা, বৈদ্যুতিক কেটলি, রুম পরিষ্কারের মেশিন, ইলেকট্রিক আয়রন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি কেনাকাটা ও ভবনে তুলতে অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়।

/বিআই/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি