X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টে তলব

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ অক্টোবর ২০২০, ২৩:০১আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২০, ২৩:০৩

সুপ্রিম কোর্ট

ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় একই সময়ে দুই আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান আনছারীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণ মামলার যাবতীয় নথিসহ (সিডি) তাকে আগামী ১১ নভেম্বর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।

ওই মামলার এক আসামির জামিনের শুনানিকালে বিষয়টি নজরে আসার পর মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ জুন এই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ৯ (৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। এরপর মামলার আসামি মো. কাউছার হাইকোর্ট থেকে এক বছরের জামিন পায়। আর আসামি শাহাদাত ট্রাইব্যুনালে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে।

আপিল আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে শাহাদাত ও কাউছারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি একই সময়ে গ্রহণ করার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে। পরে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে তলবের আদেশ দিদেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, বন্ধু নবীরুল ইসলামের ফোন পেয়ে ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় বাদী (ভিকটিম) তার বান্ধবীসহ কুড়িল বিশ্বরোডের বিসমিল্লাহ কারস লিমিটেডে গেলে রাত ৮টার দিকে তাদের একটি প্রাইভেটকারে তুলে নেওয়া হয়। এরপর প্রাইভেটকারটি কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে ৩০০ ফিট রাস্তার কিছুদূর যাওয়ার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লকে গিয়ে এক হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাদীর বান্ধবীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় বাদী গাড়ি থেকে নামতে গেলে তাকে নামতে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে ধর্ষণের পর বাদীকে প্রাইভেটকারে থাকা আসামিরা (নবীরুল, শাহাদাত ও কাউছার) খিলক্ষেত এলাকায় হোটেল রিজেন্সির সামনে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। গত বছর ১১ জানুয়ারি আসামি নবীরুল প্রাইভেটকারটি বিক্রি করে  গা ঢাকা দেয়। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পরদিন ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর ভাটারা থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন বাদী।

দ্বিতীয় দফায় এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে হস্তান্তর করা হয় মামলাটি। তদন্তকালে গত বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার বাবুবাজার এলাকা থেকে আসামি শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে অপর দুই আসামি মো. নবীরুল ইসলাম ও মো. কাউছার ওরফে হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরদিন বেলা ১২টায় ঢাকা মহানগর হাকিম (মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সারাফুজ্জামানের খাস কামরায় শাহাদাত ইসলামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। একইদিন একইসময় আসামি মো. কাউছারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও রেকর্ড করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান।

 

/বিআই/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’
বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’