X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভিকারুননিসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ নভেম্বর ২০২০, ২০:২৪আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ২১:৩২

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ৪৪৩ জন অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) এ কে এম মাসুদুজ্জামান অভিযোগ তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট দুই শিক্ষক ড. ফারহানা খানম এবং মুশতারি সুলতানার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের সই করা চিঠিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টে বিভাগের রিট পিটিশনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তির নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে গভর্নিং বডির দুই জন শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্যের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

চিঠিতে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে তদন্ত কার্যক্রমে ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম ও গভর্নিং বডির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদারসহ সব সদস্যকে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে তদন্ত ও মামলার ঘটনা চলাকালে একই শ্রেণিতে বছরের শেষ সময়ে আরও ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতির কাছে নজরুল ইসলাম, মো. আমির হোসেন ও আব্দুর রহমান হাওলাদারসহ কয়েকজন অভিভাবক গত ২৩ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব শ্রেণিতে আগে ৪৪৩ জন ভর্তির জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেইসব শ্রেণিতে নতুন করে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।  নতুন ভর্তির বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সে কারণে প্রধান বিচারপতির কাছে আমরা অভিযোগ করেছি।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৪৩ জন অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ পায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এরপর গভর্নিং বডির সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানম ও মুশতারী সুলতানার এমপিও স্থগিতের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন ড. ফারহানা খানম। রিটের আদেশে অনুযায়ী, ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ভর্তির সঙ্গে জড়িত দুই শিক্ষক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত ভর্তির ঘটনায় ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষেরও এমপিও স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম। ওই রিট মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। 

/এসএমএ/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ