X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গুরোগ নিরাময়ে কার্যকর লিভারের ওষুধ ‘এল্ট্রোম্বোপ্যাগ’: গবেষণা

ঢাবি প্রতিনিধি
২৫ নভেম্বর ২০২০, ০১:১৬আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০১:১৬

ঢামেক ও ঢাবি লিভারের ওষুধ ‘এল্ট্রোম্বোপ্যাগ’ ডেঙ্গু রোগীর ওপর প্রয়োগ করে রোগ নিরাময়ে কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ  (ঢামেক) হাসপাতাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর একদল গবেষক। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, ওই ওষুধটি শুরুতে শুধু ক্রনিক লিভার ডিজিসজনিত অনুচক্রিকা স্বল্পতা সংশোধনে প্রয়োগ করা হতো। কিন্তু উপসর্গজনিত মিল থাকার কারণে পরবর্তীতে ডেঙ্গুজনিত অনুচক্রিকা স্বল্পতা সমাধানে এই ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য এই গবেষণার পরিকল্পনা করা হয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জিএসকে ও নোভার্টিস এর যৌথ উদ্যোগে ওষুধটি তৈরি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ওই ওষুধটি প্রথমে ডেঙ্গু রোগীদের ওপর প্রয়োগ করে কার্যকরী ফল পান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডা. মৌসুমী। ২০১৯ সালে যখন ডেঙ্গুর আক্রমণে জর্জরিত ঢাকাবাসী, তখন তিনি প্ল্যাটিলেট বাড়ানোর জন্য এল্ট্রোম্বোপ্যাগ ওষুধ প্রয়োগ করে গুরুতর ডেঙ্গু রোগী সারিয়ে তোলেন। এই সুফলের কারণে তিনি আরও চার জন অসহায় রোগীর চিকিৎসা করেন। কিন্তু দুই জন ভালো ফল পান, দুই জন মোটামুটি, আর একজনের ফল আশানুরূপ পাওয়া যায় না। তখন ডা. মৌসুমী বিষয়টি আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ড. সজীব চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক ড. এ.এইচ.এম. নুরুন নবীর সঙ্গে। সেই থেকেই ওষুধটির ওপর শুরু হয় যৌথ গবেষণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে এই ওষুধটির কার্যকারিতা প্রমাণের জন্য রোগীদের ওপর দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষামূলক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেন। যা বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ‘দি ল্যান্সেট গ্রুপের ই-ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে সদ্য প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাকর্মটি পরিচালনার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.এইচ.এম. নুরুন নবী নেতৃত্ব দেন। ড. সজীব চক্রবর্তী তার শ্রম আর মেধা দিয়ে গবেষণাকর্মটি সার্বিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যান। এছাড়াও গবেষণাটির পেছনে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সারওয়ার আলম, মোহাম্মদ সায়েম, তন্ময় দাশ ও পিয়াল সাহার অবদান উল্লেখযোগ্য।

 

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘আশ্রয়ণ’: গ্রামীণ বসতি রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়
‘আশ্রয়ণ’: গ্রামীণ বসতি রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়
ছক্কা মেরেও আউট হলেন মুশফিক !
ছক্কা মেরেও আউট হলেন মুশফিক !
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
রামরুর কর্মশালায় বক্তারাঅভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা