‘আরও সাড়ে চার লাখ কিট আসছে’

দেশে বর্তমানে (২৪ নভেম্বর পর্যন্ত) এক লাখ ৮২ হাজার ৫৯১টি পিসিআর কিট মজুদ রয়েছে, দুই-এক দিনে আরও ৫৫ হাজার কিট যুক্ত হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সাড়ে চার লাখ কিট স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান। বুধবার (২৫ নভেম্বর) ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত পাঁচ মাসে এমন ঘটনা ঘটেনি যে, আমাদের সাপ্লাই চেইন কোথাও বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী দিনগুলোতেও সাপ্লাই চেইন বন্ধ হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচারক অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসীসহ অধিদফতরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সভার শুরুতে কোভিড তথ্য ব্যবস্থাপনা ও ই-সেবার ওপর তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেন্ট্রাল ফর মেডিক্যাল বায়োটেকনোলজি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মারুফুর রহমান অপু।
সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান জানান, গত ৩ জুনে থেকে এ পর্যন্ত কোভিড নিয়ন্ত্রণে ৪৪৭ কোটি ২৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৩৭ টাকার কেনাকাটা করা হয়েছে। যা পিপিআর অ্যাক্ট ২০০৬ এবং পিপিআর রুল ২০০৮ সেকশন ৬৮ ও সেকশন ৩২ অনুসারে কেনাকাটা করা হয়েছে।
তিনি জানান, কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে ২ কোটি টাকার নীচে হলে মহাপরিচালকের অনুমতি নিয়ে, ৫ কোটি টাকার নীচে হলে সচিবের অনুমতি নিয়ে এবং ৫০ কোটি টাকার নীচের কেনাকাটা হলে মন্ত্রীর অনুমতিতে করা সম্ভব। তবে ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
আবু হেনা মোরশেদ জামান জানান, সিএমএসডির কাছে বর্তমানে নয় হাজার ৬৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৪৫৩টি, আইসিইউ বেড রয়েছে ৪৭৯টি, ভেন্টিলেটর রয়েছে ২৮৭টি। সার্জিক্যাল মাস্ক রয়েছে ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার, এন-৯৫ মাস্ক রয়েছে আট লাখ ৩১ হাজারের বেশি।
এসময় আর বক্তব্য রাখেন, পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর এমআইএস ডা. মো. হাবিবুর রহমান, পরিচালক আইইডিসিআর ডা. তাহমিনা শিরিন, লাইন ডিরেক্টর এমএনসি অ্যান্ড এইচ ডা. মো. শামসুল হক। সভার শুরুতে কোভিড তথ্য ব্যবস্থাপনা ও ই-সেবার ওপর তথ্য উপস্থাপন করেন ডা. মো. মারুফুর রহমান অপু।