X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

সমন্বয়হীনতায় ১৮০ দিনে নিষ্পত্তি হয় না নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ নভেম্বর ২০২০, ২৩:৪৫আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২০, ২৩:৪৬

সমন্বয়হীনতায় ১৮০ দিনে নিষ্পত্তি হয় না নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশনা থাকলেও সমন্বয়হীনতার কারণে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার (২৮ নভেম্বর) ডেইলি স্টারের আজিমুর রহমান কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক গোল টেবিল বৈঠকে আলোচকর এই কথা জানান।

‘১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা কতটুকু মানছি আমরা: প্রসঙ্গ নারীর ও শিশু নির্যাতন মামলা’ বিষয়ে এই গোলটেবিল আলোচনা সভা হয়। আলোচনার উদ্বোধনী বক্তব্যে আমরাই পারি জোটের জাতীয় কমিটির সদস্য রোকেয়া কবীর বলেন, ‘গত ২৫ বছরে নারী নির্যাতন বিরোধী ও নারীর ক্ষমতায়নের যে অগ্রগতি হয়েছিল কোভিডের কারণে আবার পিছিয়ে যাব। শুধু একমাস পুরুষরা লকডাউনে থাকতে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু একবারও কেউ চিন্তা করিনি। নারীরা সারাজীবন লকডাউনে থাকেন।’

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ফারহানা আফরোজ জানান, তদন্ত হতে দেরি হওয়া, ভুল রিপোর্ট দেওয়া, মেডিক্যাল রিপোর্টে অতিরিক্ত সময় লাগা, ঘটনাস্থলের দুরত্ব, আসামি পালানো, তদন্তকারী পুলিশ সদস্যদের বদলি, নির্যাতনের শিকার মেয়েটির পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থান, ভয় পাওয়া এবং বাঁধা দেওয়া প্রভৃতি ঘটনার কারণে ১৮০ দিনের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এবং বাংলাদেশের পুলিশের প্রতিনিধি হিসেবে আইজিপি সোহেল রানা জানান, প্রতিটি থানায় নারী শিশু প্রতিবন্ধীদের জন্য স্পেশাল ডেস্ক রয়েছে এবং প্রায় ছয় হাজার ৯১২টি ফেসবুক পেইজ থেকে নিয়মিত নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। অনেক থানাতেই দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে সময়মতো স্বাক্ষী হাজির না করা কিংবা পরিবার মেডিক্যাল টেস্ট করাতে অসম্মতি প্রদান করায় কাজ বিঘ্ন হচ্ছে। এসব মামলা গ্রহণ করা এবং তদন্ত করার পদ্ধতিতে পুলিশের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও আচরণেরও দায় রয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. মিজানুর রহমান অনলাইনে যুক্ত হয়ে তার বক্তব্যে অপরাধী বিচার করার পাশাপাশি, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর মানসিক, আর্থিক, সামাজিক পুনর্বাসনের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য সরকারকে আহ্বান জানান।

আলোচনার বিচারক হিসেবে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জাজ গোলাম কিবরিয়া প্রস্তাব করেন, রাষ্ট্র পক্ষের স্বাক্ষীর যাতায়াতের খরচ ট্রাইব্যুনালকে বহন করতে।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে বাগেরহাটের এক শিশু ধর্ষণের মামলায় মাত্র ৭ কার্যদিবসে রায় দেওয়ার নজির সৃষ্টি হয়েছে। আলোচকরা বলছেন এই উদাহরণের ফলে বোঝা যাচ্ছে, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাগুলো ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

বাগেরহাটের দ্রুততম মামলার রায়কে উল্লেখ করে আলোচ্য সভার প্যানেল আলোচক সিনিয়র সহকারী বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জানান, এই মামলার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি সেক্টরের সমন্বয় ছিল বলে এই মামলার কার্যক্রম এতো দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে।

/এসএইচ/এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা