২০২০ সালে নতুন করে ৬৫৮ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৪১ জন। জানা গেছে, এই বছরে গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিক্যাল সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশনসহ সবম্থান মিলিয়ে পাঁচ লাখ দুই হাজার ১৬৫ জনকে এইচআইভি টেস্ট করা হয়েছে এবং স্ক্রিনিং করা হয়েছে আট লাখ ৩০ হাজার ৪২৪ জনকে। নতুন শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ পাওয়া গেছে ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে। আর সংক্রমিতদের মধ্যে বিবাহিতদের সংখ্যা সর্বোচ্চ, শতকরা ৭০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, আর ১৫ শতাংশ রয়েছেন অভিবাসী।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম। তিনি বলেন, 'দেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার শুন্য দশমিক এক শতাংশের নিচে আর রাজধানী ঢাকাতে ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ নেওয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণের হার শতকরা দুই শতাংশ।'
জানানো হয়, ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নতুন শনাক্ত হওয়া ৬৫৮ জন এইডস রোগীর মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রয়েছে ১২৪ জন। প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইচআইভি এইডস শনাক্ত হয়।সেই থেকে চলতি বছরের নতুন শনাক্ত হওয়াদের নিয়ে মোট শনাক্ত হন আট হাজার ৩২ জন আর মোট মারা গেলেন এক হাজার ৩৮৩ জন।
ডা. শামিউল ইসলাম জানান, চলতি বছরে মোট শনাক্ত হওয়া ৬৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৬ শতাংশ, নারী ২১ শতাংশ আর তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন তিন শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ২৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে ৭৪ দশমিক ২০ শতাংশ, শূন্য থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে রয়েছেন এক দশমিক ৮৮ শতাংশ, ছয় থেকে নয় বছরের মধ্যে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ, ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে দুই দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে আট দশমিক ৮৫ শতাংশ, আর ৫০ বছরের মধ্যে সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, 'বাংলাদেশে এখনও এইচআইভি-এইডসকে প্রবল সমস্যা হিসেব দেখছি না, যদি আমরা আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারি।'
