X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডা. সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:২৮আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৩১

ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে সিরাজুল ইসলাম ও হাজেরা বেগমের  সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর ) ঢাকা ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ  শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের  জন্য আগামী  ১৫ ডিসেম্বর  দিন ধার্য করেছেন।

আদালতের  সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলার অপর আসামিরা হলো—আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা,বিপুল,শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

এর আগে গত ২০ আগস্ট ঢাকা ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

গত ৬ আগস্ট ঢাকার চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। এরপর তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা  ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলির আদেশ দেন। একইসঙ্গে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৩ আগস্ট  দিন ধার্য করেন।

গত ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে  সাবরিনা ও আরিফসহ আট জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এ মামলায় গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, তিনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন এবং  এ কাজের সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চার জনকে আটক করে। সিইও আরিফুল জানান, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর জ্ঞাতসারেই সবকিছু হয়েছে।

এরপর গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ জুলাই তার তিন দিনের রিমান্ড হয়। ওই রিমান্ডের পর ১৭ জুলাই  ফের তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৩ জুন আরিফ চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে যান। পরবর্তীতে গত ১৫ জুলাই তাকে ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে সব আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক। সাবরিনার কারণেই করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পায় জেকেজি হেলথকেয়ার। প্রথমে তিতুমীর কলেজ মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা, নায়ায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিলেন আসামিরা।  নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেন তারা। তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে মাঠকর্মীরা বাড়ি গিয়ে এবং বুথ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করতেন। এভাবে নমুনা সংগ্রহ করে তারা ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটি জালিয়াতির মধ্যেমে তৈরি করে। সার্টিফিকেট প্রদানের বিনিময়ে তারা প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

 

/এমএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘আর্টিফিশিয়াল রেইন’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘আর্টিফিশিয়াল রেইন’ পরিকল্পনা
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি