X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘অনেক জেলায় গত ১০ বছরেও পারিবারিক সহিংসতা আইনে কোনও মামলা হয়নি’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:০১আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:০৫

‘অনেক জেলায় গত ১০ বছরেও পারিবারিক সহিংসতা আইনে কোনও মামলা হয়নি’ ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন প্রণীত হলেও ভোলা ও শেরপুরসহ দেশের অনেক জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১০ বছরেও এই আইনের অধীনে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। বুধবার (২ ডিসেম্বর) ‘১৬ দিন ব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘পারিবারিক সহিংসতা: ন্যায় বিচার ও আইনি প্রতিকারের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক অনলাইন গোলটেবিলে একশনএইড বাংলাদেশ কর্তৃক গত অক্টোবর মাসে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এবছর একশনএইড বাংলাদেশ ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করুন, এখনই!’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘১৬ দিন ব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২০’ পালন করছে । নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যকে চ্যালেঞ্জ করে প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের দিবস থেকে শুরু করে ১০ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পর্যস্ত ‘১৬ দিন ব্যাপি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’ ক্যাম্পেইনটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উৎযাপন করা হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও এই সমীক্ষায় নেতৃত্বদানকারী তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনটির দুর্বল প্রয়োগের পেছনে সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। এই আইনে পারিবারিক সম্পর্কের’ সংজ্ঞায় ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে-বিচ্ছেদ হয়ে গেলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে না এবং এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিপীড়ক স্বামীরা সহজেই আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যায়। এছাড়াও, পারিবারিক সহিংসতার শিকার ভুক্তভোগীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র বা সামাজিক সহায়তার সুযোগ সহজলভ্য না থাকাসহ বেশ কিছু বিষয় তার বক্তব্যে উঠে আসে।
নারীরা যদি সচেতন না হয়, শুধুই আপোষ করে চলে তাহলে নারী নির্যাতন কখনই কমবেনা, বলে মন্তব্য করেন গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সম্মানের বিষয় চিন্তা করে অনেকেই মামলা করতে চান না’।
প্রত্যেক জেলায় মানবাধিকার কমিশনের শাখা থাকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে, সেখানে সিভিল সোসাইটি সহ উন্নয়ন সংস্থাকে যুক্ত করে কাজ করলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন এরোমা দত্ত।
১০ বছর আগে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন প্রণীত হলেও এই আইনের কার্যকারিতা দেখার জন্যই এই সমীক্ষা করা হয় বলে জানান একশন এইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির। তিনি এই আইনকে আরও বেশি কার্যকর করতে আইন বিশেষজ্ঞদের সুপারিশও কামনা করেন।
এছাড়াও গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুর, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজার কোহিনূর বেগম, সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী, ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার।

/এসও/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা