ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জি কে শামীমের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাকে জামিন করানোর অভিযোগ রয়েছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলব আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রুপার রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাকে দুদকের তলব আদেশে হাজির হতেই হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুপার রিট আবেদন খারিজের এই আদেশ দেন।
আদালতে রুপার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, জেডআই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির।
এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামিকে জামিন করিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। গত ২৯ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সই করা নোটিশে এ তলব আদেশ দেওয়া হয়।
তলব আদেশের চিঠিতে বলা হয়, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি ও চাহিদা দেওয়া নথিপত্রসসহ তাকে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। যা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ, কক্ষ নম্বর ২০৯— এই ঠিকানা বরাবর পাঠানো হয়।
পরে ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১ নভেম্বর রিট দায়ের করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা।