X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি: সাথী

উদিসা ইসলাম
০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ২৩:৫৩আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০১৬, ০৬:২৯

রওশন জাহান সাথী কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে না পারায় একটা অধ্যায়ের অবসান ঘটছে বলে মনে করছেন না তার স্ত্রী রওশন জাহান সাথী এমপি। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি বলেন, দৌলতপুরের এমপি পচা মোল্লার ছেলে বাচ্চু মোল্লা ও হাবলু মোল্লাকে বিচারের মুখোমুখি না করতে পারায় পুরোপুরি সন্তোষ প্রকাশ করতে পারছেন না তিনি। এই মামলার তিন আসামির ফাঁসি বৃহস্পতিবার রাতে কার্যকর হয়েছে জানিয়েছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহাজান আহম্মেদ।
হাইকোর্ট থেকে পচা মোল্লার ছেলের নাম খারিজ করে নেওয়া হয়েছিল বলে ১৭ বছর পর এসে যে রায় কার্য‌্যকর হচ্ছে তাতে ততটা সন্তোষ প্রকাশ না করলেও কিছুটা ‘রিলিফ’ হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন,ভাল মন্দ মিলিয়ে আছি। কেবল পরিবারের জন্য না, কাজী আরেফের মতো নেতাকে এভাবে হত্যা করাটা জাতির জন্য ক্ষতি। এ ক্ষতি কোনও জাতির জন্য পূরণীয় নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালীদাসপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে জনসভার মঞ্চে ব্রাশ ফায়ার চালিয়ে জাসদের কার্যকরি সভাপতি বীরমুক্তি যোদ্ধা কাজী আরেফ আহমেদসহ ৫ জাসদ নেতাকে হত্যা করে খুনিরা। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দেন। আসামিদের মধ্যে ৪ জন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ছিল। এই ৪ জনের মধ্যে ইলিয়াছ নামে একজন ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। বাকি ৫ আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন মান্নান মোল্ল্যা, বাখের, রওশন, জাহান ও দেলোয়ার।
সাথী বলেন,এ রায় হয়েছিল ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট। সে রায়ে কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালত ১০ জনের ফাঁসি ও ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করলে আদালত ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট ১ জন ফাঁসির আসামি ও ১০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তের শাস্তি মওকুফ করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে রায় দেন আদালত। এরপর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ৩ আসামি রিভিউ আবেদন করলে ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর  তা খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। ইতোমধ্যে ইলিয়াস ওরফে এলাচ নামের এক আসামি জেলখানায় মারা গেছে। আনোয়ার, হাবিব ও ঝন্টু

এখন এই রায় কার‌্যকরের মুহূর্তে তার অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে দৃঢ়কন্ঠে তিনি বলেন,‘আমাদের পরিবারের ওপর দিয়ে যা গেছে সেটা এখন আর উল্লেখ করতে চাই না। কিন্তু একজন সৎ ও দৃঢ়চেতা রাজনীতিবিদকে এভাবে হত্যা করাটা পুরো রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য লজ্জার এবং ক্ষতির। এ রায় কার্যকরের মধ্যদিয়ে জাতিকে সেটা স্মরণ করতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।

/এমএসএম/আপ-এনএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা