ঈদুল আজহা তথা কোরবানির দিনের জন্য আছে বেশ কিছু সুন্নত আছে। নিচে সূত্রসহ সেগুলো উল্লেখ করা হলো—
১. সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া [বায়হাক্বি ৬১২৬]।
২. মিসওয়াক করা [তাবয়িনুল হাকায়েক ১/৫৩৮]।
৩. উত্তমরূপে গোসল করা [মুয়াত্তায়ে মালিক ৪২৬; ইবনু মাজাহ ১৩১৫]।
৪. শরিয়াহসম্মত (যথাসম্ভব) সাজসজ্জা করা [বুখারি ৮৮৬; মুসলিম ২০৬৮]।
৫.উত্তম ও শালীন পোশাক পরিধান করা [বুখারি ৭৫৬০]।
৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা, [মুসতাদরাক হাকিম ৫৬০]।
৭. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া, [আবু দাউদ ১১৫৭]
৮. ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে (যথাসম্ভব) খাদ্য গ্রহণ না করা [বুখারি ৯৫৩; আহমাদ ১৪২২]
৯. ঈদগাহে যাওয়া-আসায় রাস্তা পরিবর্তন করা, [বুখারি ৯৮৬; ইবনু মাজাহ ১৩০১]
১০. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া (যতটা সম্ভব) [আবু দাউদ ১/১৬৪; ইবনু মাজাহ ১০৭১]
১১. ঈদগাহে যাওয়া-আসায় উচ্চকণ্ঠে তাকবির পাঠ করা (সূরা হাজ্জ ৩৭; বায়হাক্বি ৩/২৭৯; ইবনু আবি শায়বাহ ১/৪৮৭)
১২. ‘সালাতুল ঈদ’ ঈদগাহে আদায় করা। প্রয়োজনে মসজিদে ঈদের জামাত জায়েজ [বুখারি হা/৯৫৬]।
১৩. ঈদের সালাতের আগে কিংবা পরে কোনও নফল সালাত আদায় না করা [বুখারি ৯৮৯; ইবনু মাজাহ ১২৯১]। মসজিদে ঈদের সালাত হলে দুই রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ আদায় করতে হবে।
১৪. ঈদের সালাত শেষে অহেতুক বিলম্ব না করে পশু জবাই করা [বুখারি ৯৬৫]।
১৫. কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা [মুসলিম ৫১৯৯]। প্রয়োজনে অন্যকে দিয়ে জবাই করানো জায়েজ।
১৬. কোরবানির মাংস দিয়ে দিনের প্রথম খাদ্য শুরু করা [তিরমিযি ৫৪৩; ইবনু মাজাহ ১৭৫৬]।
১৭. পারস্পরিক ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা। সাহাবায়ে কেরাম ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকুম’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন, (ফাতহুল বারি ২/৫১৭)