X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

৫০-এ জয়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ জুলাই ২০২০, ০১:৩৩আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২০, ২৩:০৮

সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন আজ সোমবার (২৭ জুলাই)। ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেন জয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম নেওয়া জয়ের নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারত চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সোফিয়া ওয়াজেদ নামে তাদের একটি মেয়ে আছে। ক্রিস্টিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন পেশায় নিয়োজিত। তার বাবা একজন সাবেক সিনেটর।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয় তাকে; যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি রাজনীতিতে আসেন। বর্তমানে তিনি অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে দায়িত্বশীল পদপ্রাপ্তি নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। নেতাকর্মীরা তাকে দায়িত্বশীল পদে দেখতে চেয়ে দাবিও তোলেন। এমনকি তাকে দলের পদে চেয়ে সম্মেলনস্থলে স্লোগানও দেন। কিন্তু তখন দলের সরাসরি পদের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর ধারণাটি জয়ের উদ্যোগেই যুক্ত হয়। দেশের মানুষ এ ধারণা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছিল, যা ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। আর আজ বাংলাদেশের যে ডিজিটালাইজেশন তার স্বপ্নদ্রষ্টাও তিনি। জয় ২০০৮ ও ২০১৪-এর জাতীয় নির্বাচনের প্রচারে দলের হয়ে অংশ নিয়ে দেশব্যাপী সাড়া ফেলে দেন। আওয়ামী লীগের আপামর নেতাকর্মীসহ এ দেশের অগণিত মানুষ তার মাঝে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পান। এখন ক্রমেই তার পিতৃভূমি পীরগঞ্জ (রংপুর-৬) আসন থেকে তার প্রতিনিধিত্ব করার দাবি যেমন দলে জোরদার হচ্ছে, তেমনি এ এলাকার মানুষও তাকে পেতে মুখিয়ে আছে।

ফেসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তায় সয়ল্যাব জয় দেশে থাকলে প্রতিবছর তার জন্মদিনে মা শেখ হাসিনা নিজে রান্না করে খাওয়ান তাকে। পাশাপাশি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করা হয়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনা সংক্রমণের কারণে মা-ছেলে দু’জন দুই দেশে। তাই স্ত্রী-সন্তানের সান্নিধ্য আর ফোনে মায়ের শুভেচ্ছায় এবার পালিত হবে তার জন্মদিন। তবে দলের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষরা তাকে ডিজিটাল শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন।

/এমএইচবি/এফএএএন/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পুতিনের পঞ্চম মেয়াদের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন পশ্চিমা নেতারা
পুতিনের পঞ্চম মেয়াদের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন পশ্চিমা নেতারা
বিচারকের স্বাক্ষর জাল: ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হয়নি 
বিচারকের স্বাক্ষর জাল: ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হয়নি 
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: সিইসি
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: সিইসি
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?