অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে ভারমুক্ত হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটেই মহাসচিব নির্বাচিত হচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের এ সন্তান। শনিবার বিকেলে শুরু হচ্ছে বিএনপির জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব।
ইতোমধ্যে এ পর্বে অংশ নিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ সারাদেশের তিন হাজারের বেশি কাউন্সিলর আসন গ্রহণ করেছেন। মঞ্চ থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করছেন, কিছু সময়ের মধ্যেই কাউন্সিলের মূল সেশন শুরু হবে। এর আগে দুপুর ২টায় খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে কাউন্সিলের প্রথম সেশন শেষ হয়।
সম্মেলনে আগত কাউন্সিলররা বলছেন, দ্বিতীয় সেশনের মূলপর্বে তিনটি পদের অনুমোদন নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি গঠনতন্ত্র সংশোধন, সংযোজন-বিয়োজনসহ সাংগঠনিক বিষয়ে অনুমোদন নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কাউন্সিলের ১২ দিন আগেই চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলররা সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেবেন। পাশাপাশি যেকোনও একজন কাউন্সিলর মহাসচিব হিসেবে একজনের নাম প্রস্তাব করবেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই চূড়ান্ত বলে এদিন কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তাকেই মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। আর এমন তথ্যই দিলেন বিভিন্ন স্থানের কাউন্সিলর।
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, তিনটি পদের বিষয় আমরা আগে থেকেই জেনেছি। চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও মহাসচিব। আজকে কণ্ঠভোটেই মহাসচিব নির্বাচন হবেন। একজন কাউন্সিলর নাম প্রস্তাব করবেন, বাকিরা কণ্ঠভোট দেবেন।