X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘নারীদের ক্লাবে যাওয়া খারাপ, পুরুষ গেলে খারাপ না?’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ জুন ২০২১, ১৫:৫৫আপডেট : ১৬ জুন ২০২১, ১৬:৩২

নারীদের কর্মসংস্থান বাড়লেও কর্মক্ষেত্রে কিংবা কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংসদ সদস্য (এমপি) হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, আজকে আমাদের কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এখন একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের নারীরা কতটুকু নিরাপদ? তারা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও আসার পথে যে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন, নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন- এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর বার্তা দিতে হবে।

বুধবার সংসদে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ পাসের প্রক্রিয়ার সময় এমন দাবি তোলেন তিনি।

এমপি হারুন বলেন, দেশে আইন আছে, কিন্তু এর সঠিক প্রয়োগ যদি আমরা করতে না পারি তাহলে এসব আইন ভেস্তে যাবে। যে কারণে রাস্তায়, ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে; বিভিন্ন জায়গায় নারীরা সাংঘাতিকভাবে নিগৃহীত হচ্ছেন।

এসময় প্রবাসেও বাংলাদেশী নারী কর্মীদের উপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, আমরা যেখানে দেশেই নারীদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে পারছি না, সেখানে বিদেশে নারী কর্মী পাঠাচ্ছি। এতে নানা ধরনের বীভৎস ঘটনা ঘটে। ইসলামী আইনে আছে, মাহরুম ছাড়া নারী বাইরে যাবে না। আমরা তাদের একা পাঠিয়ে দিচ্ছি। এটা কী বন্ধ করা যায় না? সেখানে তারা সমস্যায় পড়লেও দূতাবাস কোনও সাহায্য করছে না বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য।

সংসদ সদস্য হারুন বলেন, বলা হচ্ছে নারীদের ক্লাবে যাওয়া খারাপ। পুরুষদের জন্য খারাপ না? নারীরা মদ্য পান করলে খারাপ বলা হচ্ছে। পুরুষ করলে খারাপ না? ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দুটোই হারাম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রাজধানীতে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের আলোচিত ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মুনিয়া ব্যভিচারের শিকার হলো। কারা করলো? প্রধানমন্ত্রী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সমাজের উপরের তলার লোকজন এর সঙ্গে জড়িত। তাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এসময় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত ঘটনাস্থল ঢাকা বোট ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

/ইএইচএস/ইউএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস