সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা ৩২টি রাজনৈতিক দলের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ প্রথম কর্মসূচি হিসেবে গণমিছিল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে গণমিছিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কোরআন তিলাওয়াত করেন ওলামা দলের নেতা মাওলানা আলমগীর হোসেন।
এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে গণমিছিল কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানারসহ পূর্ব নির্ধারিত নিজ নিজ স্থানে এসে অবস্থান নেন। গণমিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ঘুরে মগবাজার গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিদায়ী বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অন্য নেতারা। এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন আগামী আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১১ জানুয়ারি রাজধানী নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর বিএনপিসহ জোটের দলগুলো সব বিভাগীয় ও জেলা সদরে গণমিছিল করেছে। ঢাকায়ও ওই দিন গণমিছিল করার কথা ছিল।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে ওই দিনের ঢাকার কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।