সরকারের দমন-পীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে, দলীয় নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানী এবং দলীয় সকল বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এটি তাদের পঞ্চম কর্মসূচি।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি প্রস্তাবিত ১০ দফা দাবিতে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে। যতদিন না দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলতে থাকবে।
তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। একটা নির্বাচনের তামাশা তৈরি করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই তামাশার নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। তাই এই সরকারকে সরাতে হবে।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার সময় হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। গ্যাসের দাম বেড়েছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মানুষ আর এই সরকারের শোষণ নিতে পারছে না।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যখনই কর্মসূচি দেই, তখনই আওয়ামী লীগ একটা পাল্টা কর্মসূচি দেয়। তাদের পার্টি অফিসের সামনে এখনও সমাবেশ চলছে। তাদের মধ্যে আস্থার অভাব, ভয় আছে। এই ভয়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দেয়।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির নাকি গণতন্ত্রের কথা বলার অধিকার নেই। অথচ আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র হত্যা করেছে।
ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।