দুই মেয়াদের বেশি কোনও ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না, এ বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বে বৈঠক শেষে তিনি এসব বলেন।
মো. তাহের বলেন, দুটি পয়েন্টে মোটামুটি আমরা অগ্রসর হয়েছি। এর মাঝে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়টিতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে, সেটা হচ্ছে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্য এবং এটাকে কনস্টিটিউন্সি প্রেসিডেন্টের যে কনস্টিটিউন্সি...মানে ইলেক্ট্রোরাল কলেজ সেটা আরেকটু এক্সটেনডেট করা।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের প্রস্তাব হচ্ছে এটা আপ টুবি ইউনিয়ন কাউন্সিল মেম্বারস যেটার সংখ্যা হয়ে যায় প্রায় ৭০/৭৫ হাজার। আমরা বলেছি এক্সটেন্ডেড করা দরকার, তবে এটা এত বড় নয়। ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল এবং পৌরসভা এটাকে কাভার করে। আর উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ থাকবেই।
জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপন ব্যালটে ভোট চায় জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যারা সরকার গঠন করবে বা যারাই করুক তার বাইরেও অন্য কোনও ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন এমন একটা বিষয় এখানে ওপেন হওয়া। যদিও ম্যাজরিটি দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, কিন্তু অলটারনেটিভ হওয়ার একটা স্কোপ এবং অপরচুনিটি, যদিও এটা খুব ন্যারো, তারপরও এটা একটা পজিশন থাকবে। সে জন্য আমরা এটা বলেছি।
তিনি বলেন, দুই নম্বর যেটা আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের ব্যাপারে, সেখানে অনেকটাই ম্যাজরিটি দল একমত হয়েছি কেউ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। কোনও কোনও দল ইনক্লুডিং বিএনপি, আমাদের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হয়নি। তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ পরপর দুইবার, তারপরে ড্রপ, তারপর আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, একটা সাইড রেফারেন্স আমাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ম্যাজরটি বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদেই হতে পারবে এরপর একব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে আরও কিছু এজেন্ডা আছে। এটা সময়ের অভাবে আজ আলোচনা হয়নি জানিয়ে এই জামায়াত নেতা বলেন, এসব অসামাপ্ত বিষয়ে আলোচনা শেষ করে রবিবার (২২ জুন) ফের আলোচনা হবে।