ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ওই জোটের শরিক দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে রাজনৈতিক মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তাদের অস্তিত্ব বা ঠিকানা খোঁজার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরু করছি। ’
সোমবার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব দিতে অনীহা রয়েছে। নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনগণের সঙ্গে থাকতে পারেনি। তাই সার্বিক বিবেচনায় তাদের প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা হলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন তার নেতৃত্বে দেওয়া হয়নি। এমনকি মনোনয়নের কাজগপত্র জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়নি। তা দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে। এতে বোঝা যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পরে ড. কামাল হোসেনের প্রয়োজন ছিল নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও পুনর্নির্বাচনের দাবি করা। এটাই ছিল জাতির প্রত্যাশা। কিন্তু তা না করায় জাতি হতাশ হয়েছে।’
আপনাদের বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ছেন কিনা বিষয়টি পরিষ্কার না, আমরা কি তাহলে বলতে পারি, আপনারা জোট থেকে বের হয়ে আসলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব বা ঠিকানা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে জনগণের সব সমস্যায় পাশে থাকার অঙ্গীকারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরু করছে। আমার মনে হয় না, এখানে কোনও অস্পষ্টতা আছে। সত্য কথা বলতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। এর কোনও কর্মকাণ্ড নেই। সেজন্য সেখান থেকে আমরা চলে আসছি। বের হয়ে যাচ্ছি বা আমাদের প্রত্যাহার করছি, এই শব্দটা ব্যবহারের কথা যুক্তিযুক্ত মনে হয় নাই। সেজন্য তাদের খোঁজার কথাটা বলেছি। তাদের মাথা থেকে ঝেরে ফেলেছি। এর অর্থ আপনি যেটা বলেছেন, সেটাকেই বোঝায়।’