X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

একা হতে চাইছে বিএনপি?

সালমান তারেক শাকিল
২৬ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৩২আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪৯

বিএনপি

অলস ঐক্যফ্রন্ট ও বিভক্ত ২০ দলীয় জোট— এই দুই বাস্তবতাকে সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি করছে বিএনপি। জোট দুটোর শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের চিন্তাভাবনা, জোটের কর্মসূচি ও বৈঠক থেকে দূরে অবস্থান নিয়ে মূলত একা থাকতে চাইছে বিএনপি। এই ভাবনার পেছনে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি যুক্ত বলে মনে করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক শীর্ষ নেতা। একইসঙ্গে সরকারের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়েও নানা ধরনের প্রশ্ন আছে তাদের।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, সময়ের তাগিদেই জোটের রাজনীতি স্থবির আছে। দলের সাংগঠনিক তৎপরতা জোরেশোরে চলছে বলে সম্মিলিত রাজনৈতিক কার্যক্রমও স্থগিত আছে— যা বিএনপির একক শক্তির উত্থানের সঙ্গে যুক্ত। নেতাদের মতে, শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করলেই কেবল জোটের রাজনীতি সক্রিয় হবে এবং প্রয়োজনে কর্মসূচি আসবে।

কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপির দুটি মত পাওয়া গেছে। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত দলটির পরিচালনায় যারা আছেন, তাদের কাছে বিষয়টি কেবল খালেদা জিয়ার নির্দেশের অনুকরণ। যদিও স্থায়ী কমিটির স্বল্প সংখ্যক সদস্য মনে করেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে আন্দোলন করেই মুক্ত করতে হবে এবং আন্দোলনের বিষয়ে দলীয় প্রধানের ‘নির্দেশনা’ (কারামুক্তির আন্দোলনে খালেদা জিয়ার ‘না’) নিয়েও তাদের প্রশ্ন আছে। কোনও কোনও নেতা প্রকাশ্যে এই অবস্থান স্পষ্ট করার কারণে বিএনপির জোট শরিকদের মধ্যেও বিভ্রান্তি আছে।

গত কয়েকদিনে বিএনপির রাজনীতি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের বিষয়ে শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এই আলাপে বেরিয়ে এসেছে জোট বা ফ্রন্ট— বিএনপির এই বন্ধু দলগুলোর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ যেমন অস্থির, তেমনই সম্মিলিত সম্পর্ক নিয়েও তারা সন্দিহান।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চারটি শরিক দল। বিএনপির সঙ্গে এ জোটে গণফোরাম, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য আছে। এই তিন দলের দুটিতেই ছোটখাটো সমস্যা লেগে আছে দীর্ঘদিন ধরে।  গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন কয়েক মাস আগে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে বাদ দিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী এস এম কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করেন। নতুন এই সেক্রেটারি অবশ্য এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির একটিও বৈঠক ডাকতে পারেননি। এছাড়া, দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ কয়েকজন নেতা দলের ভেতরে একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সমর্থকদের জায়গা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এই পক্ষটির বিরোধ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েই দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের অসন্তোষ রয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আ স ম রবের জেএসডি-তে ভাঙন ধরেছে। এরইমধ্যে দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের নেতৃত্বে এই ভাঙনের সৃষ্টি। ফ্রন্টের রাজনীতি নিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা রতনের অবস্থানও এখন ফ্রন্টের চেয়ে অনেক আলাদা ও নতুন (রবের পার্টিতে ভাঙন, আলাদা কনভেনশন ডেকেছেন রতন)। মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্যে নেতৃত্বের সমস্যা না থাকলেও বড় কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপির রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ জোট— ২০ দলীয় জোট। ১৯৯৯ সালে যেটি চার দলীয় জোটের মাধ্যমে গঠিত হয়ে ক্ষমতায়ও ছিল পাঁচ বছর। ২০১২ সালের পর জোটের পরিধি বাড়লেও কার্যকারিতা দিনে দিনে শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে। জোটের অন্যতম শরিক, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের কারণে জোটের প্রসঙ্গটি আলোচনায় থাকলেও কার্যকর সম্পর্ক থেকে বিরত রয়েছে বিএনপি। এছাড়া জোটের আরেক শরিক অলি আহমদের জাতীয় মুক্তিমঞ্চকে কেন্দ্র করেও অসন্তোষ রয়েছে দলটিতে। জোটের কার্যক্রমে  নতুন করে যুক্ত হয়েছে আব্বাসী-সেলিমের এলডিপির বিষয়টি (আব্বাসী-সেলিমের এলডিপির বর্ধিত সভা ৩০ নভেম্বর)। অলি আহমদের পুরনো এই সহযোগীদের জোটে রাখলে পরিস্থিতি কী হবে, তা এখনও অস্পষ্ট বলে জানান এলডিপির নতুন অংশের নেতারা।

২০ দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক জামায়াত। এরইমধ্যে দলটির নতুন আমির হিসেবে সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। সহসাই তার শপথ প্রক্রিয়া ও দলটির নতুন সেক্রেটারিয়েট মনোনীত ( সেক্রেটারি জেনারেল পদ নিয়ে জামায়াতে ‘‍সিচুয়েশন ক্রিটিক্যাল’) করা হবে। সেক্ষেত্রে দলটিতে আসবে নতুন নেতৃত্ব— যাদের কারও বিরুদ্ধেই সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার বিষয়টি যুক্ত নেই বলে জামায়াতে প্রচার আছে। যদিও  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বরাবরই বলে এসেছেন, ‘একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত। দলটির রাজনীতির ক্ষেত্রে তা ইতিবাচক হবে, বলেও একাধিকার জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ঘরানার এই অ্যাক্টিভিস্ট।’ 

জামায়াতের নতুন আমিরের পরিচালনা পদ্ধতি ও রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে দলের ভেতরে নানা মত চালু আছে। দলের কারও কারও ভাষ্য— একাত্তর পরবর্তী আমির হওয়ার কারণে জামায়াতের রাজনৈতিক নীতিতে পরিবর্তন আসবে। বিএনপির সঙ্গে জোটগত রাজনীতিতেও এর প্রভাব থাকবে, এমনটি বিশ্বাস দলীয় এই সূত্রের। জামায়াতে ইসলামীকে সাংগঠনিক রাজনীতি ও রাজপথে ফেরানোই নতুন আমিরের অন্যতম লক্ষ্য বলে দাবি করা হয় সূত্রের তরফে। এ কারণে জোট রাজনীতিতে কৌশলগত দূরত্ব বজায় রাখবে জামায়াত। দলটির নতুন আমির সম্পর্কে যখন এমন তথ্য মিলছে, বিএনপির অবস্থানও অনেকটাই এমন। দলের দায়িত্বশীল একটি অংশের মত, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে আর কখনোই ক্ষমতায় আসা সম্ভব না। বিএনপিকে নতুন কিছু করতে হবে, নতুন কিছুর সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। একইসঙ্গে জোট ও ফ্রন্টের এই কাঠামো বাতিল করে নতুন করে সমন্বিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করা জরুরি। 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক শীর্ষ নেতা মনে করেন, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে পরিবর্তন এসেছে, যা রহস্যজনক। বিশেষ করে কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন নেতারা। আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার শুনানি শুরু করবেন আদালত।

রাজনৈতিকভাবে জোটগত বিষয়টিকে এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিএনপি— এমনটি দাবি করছেন ফ্রন্টের কয়েকজন নেতা। তারা জানান, বিএনপি ফ্রন্ট বা জোট নিয়ে সিরিয়াস নয়। খালেদা জিয়াকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে যাওয়ার কথা থাকলেও সে বিষয়ে কোনও অগ্রগতি নেই। ৯ দিন আগে চিঠি দিয়েও (খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ চেয়ে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি) কারা কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাননি নেতারা। এরপর বিএনপির ড. আবদুল মঈন খানের নাম যুক্ত করে পুনরায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কেন যাবেন না— এ নিয়েও ফ্রন্টে প্রশ্ন আছে।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার বিষয়টি কী অবস্থায় আছে, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (এআইজি প্রিজন) কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, ‘আমি একটা চিঠি পেয়েছি। দ্বিতীয় চিঠি আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। তবে এটার বিষয়ে আইজি প্রিজন মহোদয় সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে তিনিই মন্ত্রী মহোদয়কে জানাবেন।’ তিনি আরও  বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের বিষয়টি আমার এখতিয়ারভুক্ত নয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের সেক্রেটারি ড. রেজা কিবরিয়ার মন্তব্য, ‘আমাদের সাক্ষাৎ দিচ্ছে না সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো আরও  আগেই সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু কেন দিচ্ছে না, জানি না। এখন মন্ত্রীর যদি ক্ষমতা না থাকে, কার ক্ষমতা আছে তা নিশ্চয়ই জানেন।’

ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কারও কারও ধারণা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের অনাগ্রহের কারণেই ঐক্যফ্রন্টকে সক্রিয় করছে না বিএনপি। এক্ষেত্রে বিএনপির মহাসচিবকে দৃশ্যমান নেতৃত্বে দেখা গেলেও আদতে সবকিছুর নিয়ন্ত্রক এখন তারেক রহমান। তার নজর ও সম্মতির বাইরে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অপারগ। একইসঙ্গে সরকারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুরো পরিস্থিতিকে ‘রহস্যজনক’ বলে মনে করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না মঙ্গলবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অ্যাকটিভ নয়। খালেদা জিয়াকে কারাগারে দেখতে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আছে। আর  কিছু ব্যাপার আমরা পত্রিকায় পড়ি। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যে ফোকাস নির্ধারণ করতে হয়, সেদিক থেকে সবকিছু আচারধর্মী মনে হচ্ছে।’

ফ্রন্টের নেতা রেজা কিবরিয়ার ভাষ্য— ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চারটি শরিক দলের প্রত্যেকটি দলই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।’ তার দাবি, সরকারি দলের কাজই হচ্ছে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সমস্যা তৈরি করে রাখা।

 বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কিন্তু এটাও বলতে হচ্ছে, পুরো পরিস্থিতি পরিষ্কার নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেছেন, আমরা তো দেখেছি— তার রিসিপশনের বিষয়টি। ফলে কিছু বুঝতে পারছি না।’

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী মনে করেন, বিএনপির পক্ষ থেকে মৌনতা আছে। তিনি বলেন, ‘কেন তা বলতে পারবো না। আমরা নিজেরাও কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছি না।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর কারও কারও মত হচ্ছে, ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন অনেকদিন ধরেই নিষ্ক্রিয় ও পর্দার আড়ালে রয়েছেন। যদিও তার দলের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের শরীর ভালো নেই। এ কারণে স্যারকে এখন উত্তেজিত করা যাবে না। তাকে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হয়। খুব জরুরি ছাড়া অনুষ্ঠানে যান না।’

জিয়াউর রহমান, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া বিএনপির দায়িত্বশীল একটি পক্ষ বলছে, দলের জোটভিত্তিক রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা ২০ দলীয় জোট— উভয়ক্ষেত্রেই বিএনপি কী করবে, এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কোন জোটকে দুর্বল করবে, বা কোনটাকে সবল বা কাদেরকে কাছে টেনে কাকে দূরে ঠেলবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। সর্বোপরি বর্তমান সময়ের জটিলতায় জোটের রাজনীতি নির্ধারণ করতে আরও সময় নেবে বিএনপি।

 বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জোটরাজনীতির বিষয়টিকে অনেকটা এভাবেই দেখছেন। তিনি বলেন, ‘নিষ্ক্রিয়তার কোনও কথা নেই, প্রশ্নটা হচ্ছে সিদ্ধান্তের। সব দলগুলো মিলে যখন একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেবে, তখন ফ্রন্ট কার্যকর হবে।’

জোট ও ফ্রন্টের মৌনতা কী বিএনপির একা চলার ইঙ্গিতবহ— এমন প্রশ্ন ছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে। মঙ্গলবার বিকালে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘মৌনতার প্রশ্ন নয়, প্রত্যেকটি দল নিজেদের স্ট্র্যাটেজিতে ফ্রন্ট তৈরি করে। এটা তো ফ্রন্ট, দল না।’

বিএনপির মহাসচিব আরও  বলেন, ‘অনেকগুলো দল মিলে ফ্রন্ট হয়, অনেকগুলো দল মিলে একটি জোট হয়। প্রত্যেক দলের নিজস্ব কর্মসূচি থাকে। আমরা আমাদের প্রোগ্রাম করছি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম করছি। তারা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যখন প্রয়োজন হবে, তখন ঐক্যফ্রন্টের সভা হবে, ঐক্যফ্রন্ট কাজ করবে।’

আরও পড়ুন:

রাজনীতি থেকে দূরে, কেন দূরে?

 

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৮ বিজিপি সদস্যকে
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৮ বিজিপি সদস্যকে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা