X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা উত্তরে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ, দক্ষিণে ইশরাক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:২২আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:২৪

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন, উত্তরে তাবিথ আউয়াল

 

আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) প্রার্থী করা হয়েছে তাবিথ আউয়ালকে ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে। প্রার্থী চূড়ান্ত করার এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দলের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করে দুজনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থী দুজনেই উচ্চ শিক্ষিত। তারা বয়সেও তরুণ। আশা করছি তারা মানুষের কাছাকাছি যেতে পারবেন এবং তরুণ সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

এর আগে, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মেয়রপ্রার্থী বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, তাবিথ আউয়াল ও প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সাক্ষাৎকার দেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্কাইপিতে যুক্ত ছিলেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমরা মনে করি না, তারপরও আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা মনে করি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। জনগণের কাছে যাওয়ার একটি সুযোগ পাবো। যদিও গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে এ নির্বাচন কমিশন ও সরকার আমাদের সেই সুযোগ দেয়নি।

বর্তমানে সরকারের অধীনে কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসার পর সেটাকে পাল্টে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তার একটি ব্যক্তিগত পরিচয় হচ্ছে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে। যদিও তিনি একেবারেই নতুন। তারপরও আমরা মনে করছি, নতুনদের মধ্যে তার প্রতি একটি বড় আকর্ষণ থাকবে। একই সঙ্গে তিনি উচ্চশিক্ষিত। তার চিন্তাশক্তি, মেধা, বাচনভঙ্গি সব কিছু থেকেই মোটামুটিভাবে মনে হয় যে তিনি মানুষকে আকৃষ্ট করবেন এবং করেছেনও বোধহয়। গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গেও হয়তো তার কথা হয়েছে। আপনারাও তাকে পছন্দ করেন। সেজন্য আমরা মনে করেছি যে, ইশরাক হোসেন আমাদের একজন ভালো প্রার্থী। তাকে সেজন্য মনোনয়ন দিয়েছি।’

ঢাকা উত্তরে দলীয় প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন,‘তাবিথ আউয়াল একেবারে ইয়ং (তরুণ) না হলেও ইয়ং। বয়স ৪০। খুব বেশি বয়স না। আমরা দেখেছি যে, তাবিথ আউয়াল সাহেব গত নির্বাচন করেছেন। উনিও নতুন প্রজন্মের কাছে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাবিথ একজন যোগ্য প্রার্থী এর প্রমাণ তিনি ইতোপূর্বে দিয়েছেন। তাই দলীয়ভাবে তাকে নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থী মনে করছি। নির্বাচন করবেন বলে উনি তার নির্বাচনি এলাকায় প্রচুর মুভমেন্ট করেছেন কয়েক মাস ধরে। ইতোমধ্যে তার ভোটারদের মাঝে তার প্রতিশ্রুতিটা জানিয়ে দিয়েছেন। তাবিথও উচ্চশিক্ষিত। তার দৃষ্টিভঙ্গিগুলো অত্যন্ত আধুনিক। আমি মনে করি যে, অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তার। তিনি নির্বাচিত হতে পারলে সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটা ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আমি মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাট দ্য সেম টাইম আমাদের রাজনৈতিক বিষয়টা রয়েছে। তাকে সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই দুই প্রার্থী বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা মনে করছি।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে এখন কথা বলতে আমার রুচি হয় না। এই নির্বাচন কমিশন কেমন তা আপনারা অতীতে দেখেছেন এবং নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এর কথায় তা প্রকাশ পেয়েছে। তবু যেহেতু আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই আর এটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের অধীনে নির্বাচনে যেতে হচ্ছে।

পরে তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন উভয়ে তাদের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
দক্ষিণ সিটি মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আমি আবারও বলছি, আমাদের মনোনয়ন দেওয়ায় দেশের তরুণদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। এই মনোনয়নে থেকে বিএনপি মনে করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের ওপর আস্থা রাখা যায়।

আরেক প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, তরুণ বয়সে আমাকে এতোবড় দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দলের সব নেতৃবৃন্দের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি, যাতে দলের দেওয়া গুরু দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে পারি।
এসময় নির্বাচিত হলে বাসযোগ্য আধুনিক ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার করেছেন তাবিথ আউয়াল। আর নগর সরকার আদলে ঢাকাকে সাজানোর অঙ্গীকার করেছেন ইশরাক হোসেন। তারা মনে করেন, এই প্রাথমিক বিজয় শুধু তাদের না, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী সকল কর্মীদের। নগরবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়াও চান তারা।
বিজয়ী হলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ বলেন, ‘যে আন্দোলনটা আমরা শুরু করেছিলাম গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য, ভোটারদের অধিকার রক্ষা করার জন্য এবং বিশেষ করে ঢাকা শহর যে অবহেলায় চলে যাচ্ছে সেখানে একটা উন্নয়ন আনার জন্য নতুন নেতৃত্ব দরকার। বিজয়ী হলে আমি অতি শিগগিরই সে কাজ করতে চাই। আপনারা জানেন যে, ঢাকা শহরের প্রত্যেকটা সেক্টর আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিম্নস্থানে আছে। এর উত্তরণ ঘটাতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে, মানুষের যে ন্যূনতম অধিকারগুলো আছে সেগুলো রক্ষা করতে হবে। তার পাশাপাশি ঢাকার উন্নয়ন করতে হবে। জনকল্যাণে জনগণের জন্য আমরা তার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
আর একই প্রশ্নের উত্তরে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতার ভারসাম্যের অনুপস্থিতির কারণেই কিন্তু আমাদের ঢাকা আজকে বিশ্বের সবচেয়ে অবসবাসযোগ্য নগরীর মধ্যে অন্যতম। কারণ, এখন যারা ক্ষমতায় আছে তাদের মধ্যে জনগণের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা নাই। তারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। আপনারা একটা জিনিস দেখবেন যে পরিমান অর্থ পাচার হয়ে গেছে ১২ বছরে তা দিয়ে ঢাকা কেন বাকি ১২টা সিটি করপোরেশনকে উন্নত করা সম্ভব ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, যদি মেয়র নির্বাচিত হই প্রথমে ঢাকাকে ন্যূনতম বসবাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করবো। তারপরে উন্নয়ন, সেটা কোনও সমস্যা না। এসব আমাদের জানা আছে দেশে কীভাবে উন্নয়ন করতে হয়; প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে আধুনিক শহরে গড়ে তুলতে হবে সেটা কোনও সমস্যা হবে না। কারণ, আমরা দুজনই উচ্চ শিক্ষিত, আমাদের বিস্তর পরিকল্পনা আছে।’

তিনি আরও বলেন,‘ঢাকা সিটি করপোরেশনের যে অথরিটি দেওয়া আছে সেটা দিয়ে ঢাকার সমস্যার সমাধান সম্ভব না এবং উন্নত নগরী করা সম্ভব না। ঢাকাকে অবশ্যই একটি মেট্রোপলিটন গভর্মেন্ট অথবা নগর সরকারের আদলে সাজাতে হবে।’

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

উল্লেখ্য, তাবিথ আউয়াল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে। তাবিথ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে গত ডিএনসিসি নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনের দিন দুপুরে ভোট গ্রহণে নানা অভিযোগের কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বিএনপি। তারপরও ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ডিএনসিসি’র ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিসুল হক। তিনি পান ৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট। তার মৃত্যুর পর দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে উপনির্বাচনে আর অংশ নেয়নি বিএনপি। সে নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এবারে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি।

এদিকে, ইশরাক ও তাবিথের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হচ্ছেন তা জানা যাবে আগামীকাল রবিবার (২৯ ডিসেম্বর)। এদিন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে। বর্তমানে দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়ররা দায়িত্বে আছেন। এরমধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে উপনির্বাচনে জয়ী আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন আবারও নৌকার কাণ্ডারী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রাজধানীবাসীর রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। কারণ, দলেই তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন শক্তিশালী প্রার্থী। ঢাকার দুই সিটিতে গত নির্বাচনে প্রার্থীরা দলীয় হলেও তাদের প্রতীক ছিল নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া। তবে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধন হওয়ায় এবার তারা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। অবশ্য ২০১৮ সালে ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচন দলীয় প্রতীকেই অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।     

 

 

/এআরআর/এসটিএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তিন লাল কার্ডের ম্যাচ নিয়ে কে কী বললেন!
তিন লাল কার্ডের ম্যাচ নিয়ে কে কী বললেন!
প্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এলো বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এলো বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা