ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনা প্রথম ও প্রধান কাজ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে পলিটিক্যাল রুম আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ধরনের রুম ও ভর্তিবাণিজ্য চলবে না। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে। তাদের সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে ছাত্রলীগকে। ছাত্রলীগের কোনও রাজনৈতিক রুম থাকবে না।’
বুধবার (১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের ওরিয়েন্টেশন কোর্স শুরুর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বুয়েটে যারা ছাত্রলীগের পরিচয়ে আবরারকে হত্যা করে, এই ধরনের কর্মী আমাদের প্রয়োজন নেই। রাজশাহীতে পলিটেকনিক অধ্যক্ষকে যারা ছাত্রলীগের পরিচয়ে অপমান করলো, এ ধরনের নেতা আমাদের প্রয়োজন নেই। গুটিকয়েকের জন্য গোটা পার্টি দুর্নামের ভাগীদার হতে পারে না। কয়েকজনের অপকর্মের দায়ভার সরকার নিতে পারে না। ছাত্রনেতারা দুপুর ১২টার আগে ঘুম থেকে ওঠে না। কারণ, তারা রাতে জেগে থাকে। সারা রাত জেগে জেগে কি করে, সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রনেতা চলার সময় সামনে পেছনে ২০-৫০টা হোন্ডা (মোটরসাইকেল) দেখা যায়। হোন্ডায় আরোহী কারও মাথায় হেলমেট থাকে না। এতে আমি সড়কমন্ত্রী হিসেবে লজ্জা পাই। যখন দেখবো ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণ হেলমেট নেই, সবাই আমাদের, ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে, তারপর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হলেই তার আগে ৫০টা হোন্ডা তাদের নিয়ে যাবে, এমন নেতার দরকার নেই।’
ছাত্রলীগকে বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুটি অর্জন কখনও মুছে যাবে না, একটা হলো বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর এই জনপদে মৃত্যু হবে না। আর এই জনপদে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য শেখ হাসিনার অর্জনের মৃত্যু হবে না। জনপদ যতদিন থাকবে উত্তরাধিকার হিসেবে এই দুটি অর্জন এ দেশে থেকে যাবে।’
ওরিয়েন্টেশন কোর্স সূচনার আগে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।