ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় সন্ত্রাসী হামলায় আহত রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা ঢামেক হাসপাতালের ১০৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুমনকে দেখতে যান। বিএনপির দুই নেতা তার সঙ্গে কথা বলেন ও শারীরিক খোঁজ-খবর নেন।
এসময় তাবিথ বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে কারও ওপর হামলা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে থেকে বলা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবার জন্য রাখতে। এরকম পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ রয়েছে। এ বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কর্মের কোনও মিল ছিল না। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বানচাল করে দিয়েছে।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে আমাদের প্রচারে হামলা করেছিল। সেখানেও তিন জন সাংবাদিক আহত হন। নির্বাচনে যেসব সংবাদিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন তারা ভোট জালিয়াতির মুখোশ উন্মোচন করেছেন বলেই তাদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ত্র্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খানসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, ১ ফেব্রুয়ারি দুই সিটির নির্বাচনের দিন মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সুমন। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় ৩ ফেব্রুয়ারি একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের দিন বাড্ডা, গেন্ডারিয়ায় আরও চার সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন।