গরিব মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ, লুটপাট-দুর্নীতি বন্ধ ও চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে প্রতীকী বিক্ষোভ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। শনিবার (১৮ এপ্রিল) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। জোটের শরিক ছাত্রফ্রন্টের দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
সালমান জানান, প্রতীকী বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর।
সমাবেশে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের গাফিলতি শুরু থেকেই ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বাড়ছে মানুষের কষ্ট-অসহায়ত্ব। কোটি কোটি মানুষ আজ বেকার। সবচেয়ে কষ্টে আছে নিম্নবিত্ত-শ্রমজীবী মানুষ। মধ্যবিত্ত মানুষও আজ অসহায় জীবনযাপন করছে। অন্যদিকে সরকার চিন্তিত জিডিপি নিয়ে, গার্মেন্টস মালিকদের নিয়ে, বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও পুঁজিপতিদের নিয়ে। অন্যদিকে এ দুর্যোগ মুহূর্তেও না খেয়ে থাকা মানুষদের ত্রাণের চাল, তেল চুরি করছে সরকারি লোকজন, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা আরও বলেন, অবিলম্বে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের কাছে ত্রাণ সরবরাহ ও আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা কার্যক্রম সচল রাখতে পর্যাপ্ত পিপিই, মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।