করোনাভাইরাসের বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার জনকল্যাণমুখী বাজেট দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব-অর্থনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট পেশ করেছেন তা স্বাভাবিকভাবেই পূর্ণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। তবুও সরকারের পক্ষ থেকে জনকল্যাণমুখী বাজেট দিতে চেষ্টা করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রয়োজনীয় খাতগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে। বাজেটে বড় ধরনের একটি ঘাটতি আছে, গত বছরের স্বাভাবিক পরিস্থিতির চেয়ে আয় এবার বেশি ধরা হয়েছে। যা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে না। সেক্ষেত্রে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি ধরা হয়েছে। তাই যথাযথ খাত নির্দিষ্ট করে যেন খরচ করা হয় এবং সেভাবেই বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে।’
জিএম কাদের মনে করেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নটা চ্যালেঞ্জ হবে। তার ভাষ্য, আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় করতে হবে এবং যথাযথ খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বরাদ্দ ব্যবহার করতে হবে।
কাদের বলেন, স্বাস্থ্যখাত এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতেও যথেষ্ট বরাদ্দ দেওয়া দরকার। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে স্বাভাবিক গতিতে পরিচালিত হতে পারে তার জন্য সরকারকে অর্থায়ন করতে হবে।’
জাপা চেয়ারম্যানের পরামর্শ, বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ হবে তা যেন যথাযথভাবে খরচ হয়, সেজন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত ও অপচয় রোধ করে যথাযথভাবে জনকল্যাণে যেন বরাদ্দ ব্যয় হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, লেঃ জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি প্রমূখ।