বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য অশুভ সংকেত। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর নির্মম হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানোর কোনও ভাষা আমার জানা নেই।’
গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হাতুড়ির আঘাতে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সংগঠনটির সদস্য আসাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হিলি ও ঘোড়াঘাট থেকে গ্রেফতারের পর তাদের রংপুর র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর যুবলীগ থেকে উভয়কে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে প্রথম অস্ত্রোপচারের পর স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম। জ্ঞান ফেরার পর তিনি স্বামীকে চিনতে পেরেছেন। অল্প কথাও বলেছেন। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।