X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির কাউন্সিল সামনে রেখে সক্রিয় আন্ডারওয়ার্ল্ড!

সালমান তারেক শাকিল ও আমানুর রহমান রনি
০৮ মার্চ ২০১৬, ২২:৫৩আপডেট : ০৯ মার্চ ২০১৬, ০৩:৫৭

বিএনপি আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে দলেই উৎসব-উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। চাঙ্গাভাব এসেছে তৃণমূলেও। এদিকে, দলটির কাউন্সিল সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ড। নিজেদের পছন্দের নেতাদের পদ-পদবি নিশ্চিত করতে আত্মগোপনে থাকা শীর্ষসন্ত্রাসীরা আশ্রয়দাতা নেতাদের পেছনে অর্থ-জনশক্তি দিয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছেন। ইতোমধ্যে কাউন্সিলকে ঘিরে রাজধানীতে সক্রিয় অন্তত ১২টি গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়, এই ১২টি গ্রুপের মধ্যে রয়েছে নিহত পিচ্চি হান্নানের অনুসারীদের গ্রুপ, বিদেশ পলাতক বিকাশের গ্রুপ, ক্যাপ্টেন ইমন গ্রুপ, জেলে বন্দি সুইডেন আসলাম গ্রুপ, শাহাদাত গ্রুপ, পাপেল গ্রুপ, পিচ্চি হেলাল গ্রুপ, ফ্রিডম সোহেল গ্রুপ। এর বাইরে বিএনপির কয়েকজন নেতার সমন্বয়ে গঠিত কয়েকটি শক্তিশালী গ্রুপ রয়েছে, যে গ্রুপগুলো আন্ডারওয়ার্ল্ডের সহায়তায় নিজেদের দলীয় প্রভাব ও রাজনৈতিক বলয় ধরে রাখে। দলীয় গ্রুপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সোহেল-জুয়েল-বাবু গ্রুপ। এই গ্রুপটিতে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে রুহুল কবির রিজভী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ সব সত্য নয়। কাউন্সিলকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কৌশল। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। 

মূলত নিজেদের নিরাপত্তা, অস্তিত্বরক্ষা করতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সদস্যরা রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন কামনা করেন বলে জানায় গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়। সূত্রের দাবি, নিজেদের অন্যায় কর্মকাণ্ড সক্রিয় রাখতে রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসীদের প্রথম পছন্দ। এ কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি আগামী দিনের চিন্তায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রভাবশালীদেরও নিজেদের দিকে ভেড়াচ্ছে তারা। সূত্র এ-ও দাবি করে, অন্যদিকে সংযোগ রাখা রাজনৈতিক দলের নেতা তার দলীয় প্রভাব বিস্তার, ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য আন্ডারওয়ার্ল্ডের সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র, লোকবল, আন্দোলনের নৈরাজ্য-নাশকতা তৈরিতে সহযোগিতা নিয়ে থাকেন। 

এ বিষয়ে পরিচয় উদ্ধৃত করে মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও মন্তব্য করতে নারাজ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একজন সন্ত্রাসী বা অপরাধীর পরিচয় যাই হোক, তিনি যে রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিতই হোন, এটা কোনও বিষয় নয়। তার বড় পরিচয় তিনি অপরাধী। একেকজন অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে। বাংলাদেশে বিগত দিনে যেসব সহিংসতা হয়েছে, যারা এর পেছনে মদদ দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের গতিবিধি পুলিশের নজদারিতে রয়েছে। তারা যে দলীয় লেবাসে আসুন না কেন, তাদের নাশকতাকারী হিসেবে আইনের আওতায় আনা হবে।’ 

পুলিশের একজন সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) বলেন, ‘অপরাধীদের তালিকা পুলিশের কাছে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে, তারা কখন কোন দল করে, তা বিবেচ্য বিষয় নয়। জাতির জন্য কেউ থ্রেড হলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 সক্রিয় যে গ্রুপগুলো

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ক্রসফায়ারে পিচ্চি হান্নান নিহত হলেও তার মূল ব্যাক-আপ এখন তেজগাঁও এলাকার সাবেক কমিশনার বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার জামান আনোয়ার। বর্তমানে তিনি নিজেই ঢাকা মহানগরের শীর্ষ দুটি পদের একটিতে নিজেকে দেখতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ঢাকার শীর্ষসন্ত্রাসী বিকাশ কুমার বিশ্বাস। বর্তমানে পলাতক এই শীর্ষসন্ত্রাসী ২০১২ সালের শেষ দিকে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। পুলিশের কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, বিকাশের বাবার নাম বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগরে। বিএনপি সরকারের সময়ে করা পুলিশের তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে বিকাশের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। বর্তমানে কোন দেশে অবস্থান করছেন বিকাশ, এটি নিশ্চিত হতে পারছেন না গোয়েন্দারা।

সূত্রের দাবি, এক সময় বিকাশের মূল রাজনৈতিক ব্যাক-আপ ছিলেন বিএনপির প্রয়াত নেতা নাসির উদ্দিন আহমদ পিন্টু। এক সময় প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটলে সামনে আসেন ছাত্রদলের সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ফিরোজ। তার সঙ্গে বিকাশের সম্পর্ক তৈরি হয়। মূলত বিএনপিতে ফিরোজের সূত্র ধরে নিজের প্রভাব তৈরি করেছেন বিকাশ। সাইফুল আলম ফিরোজ স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি পদপ্রার্থী। এই ফিরোজে অনুসারী বর্তমান ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন সোহান। তিনি আগামী কমিটিতে ছাত্রদলের সভাপতি ক্যান্ডিডেট।

রাজধানীর ধানমণ্ডি, কলাবাগান, নিউ মার্কেট, হাজারীবাগ, ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা কলেজ এলাকা দেখাশোনা করেন সাজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে ক্যাপ্টেন ইমন। আন্ডারওয়ার্ল্ডে তিনি এই এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। বতমানে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে আছেন তিনি।

গোয়েন্দারা জানান, ক্যাপ্টেন ইমনের সম্পর্ক আওয়ামী লীগ-বিএনপি—উভয় দলের সঙ্গেই আছে। বিএনপিতে ধানমণ্ডি বিএনপির সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম রবি আছেন। আগামী কাউন্সিলে তিনি বিএনপির মহানগরের সুপারপদগুলোর একটিতে আসতে চান। তিনি বর্তমানে মহানগর বিএনপির দায়িত্বে আছেন।

সূত্রমতে, ছাত্রদলের ঢাকা কলেজের বর্তমান সভাপতি মাসুদ করিম ক্যাপ্টেনের ব্যাক-আপের কারণেই আসতে সমর্থ হয়েছেন। কারাগারে আছেন শীর্ষসন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম। দীর্ঘদিন ধরে কারাবাসে থাকলেও বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরে ছাত্রদল, যুবদল এবং মূল দলের কমিটি গঠনপ্রক্রিয়ায় তার হাত থাকে। ছাত্রদলের উত্তর সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ তার অনুসারী বলে পরিচিত। সুইডেন আসলামের সহযোগিতা নেন আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার নামে একজন। অপারেশন ক্লিনহার্টে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।

বিএনপির মিরপুর বৃহত্তর এলাকাটি দেখে শীর্ষসন্ত্রাসী শাহাদাত। বৃহত্তর মিরপুরে অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই তার ব্যাক-আপ নেওয়ার চেষ্টা করে। বতর্মানে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইয়াসিন আলী। তিনিও  শাহাদাতের সমর্থনে আছেন। আগামী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চান ইয়াসিন আলী। ক্ষমতায় গেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নানা সেক্টরে কাজ পাওয়ার প্রত্যাশায় তাকে ব্যাক-আপ দিচ্ছে শাহাদাৎ গ্রুপ।

ক্রসফায়ারের আসামি পাপেল। আলোচিত এই সন্ত্রাসী বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও  সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলয়ের হয়ে কাজ করে থাকেন। টুকুর হয়ে ছাত্রদলের সাবেক নেতা পাপেল  সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ছাত্রদলের বর্তমান মহানগর পশ্চিমের সেক্রেটারি আরাফাত রাব্বী তার গ্রুপের সহযোগিতায় রাজনীতি করছেন।

শীর্ষসন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল রাজধানীর মুহাম্মদপুর এলাকার বিএনপির অনেকের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ছাত্রদলের ঢাকা পশ্চিম শাখার সভাপতি কামরুজ্জামান তার সহায়তায় পদে আসীন হয়েছেন। বিদায়ী পদে তিনি মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি ছিলেন। এছাড়া ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ রহমতও পিচ্চি হেলালের সমর্থন নিয়ে ছাত্রদলে সক্রিয় আছেন।

রাজধানীর মতিঝিল ও আরামবাগ এরিয়ায় সক্রিয় শীর্ষসন্ত্রাসী ফ্রিডম সোহেল। ওই এলাকার রাজনৈতিক নানা মেরুকরণে তার সরাসরি হস্থক্ষেপ রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র দাবি করে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার তার ব্যাক-আপ নেন বলেও দাবি সূত্রের।

অভ্যন্তরীণ গ্রুপ

এই সাতগ্রুপের বাইরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ আরও ৩টি গ্রুপ সক্রিয় আছে। যারা নানাভাবে লবিং, অর্থ, প্রভাব, ক্ষমতা খাটিয়ে নিজেদের এবং নিজেদের প্রভাবাধীন নেতাদের কাউন্সিলের মাধ্যমে শীর্ষপদগুলোয় অবস্থান করতে চান। এই গ্রুপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বিএনপির ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল-শফিউল বারী বাবু-আবদুর কাদের ভুঁইয়া জুয়েল গ্রুপ। এই তিনজন মিলেই চলতি কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় মেহেদি তালুকদারকে সভাপতি বানিয়েছেন। এই গ্রুপটি মূলত রিজভী-ইলিয়াস আলী বলয়ের।

সাংগঠনিক সূত্র জানায়, ছাত্রদলের ইতিহাসে সবচেয়ে সক্রিয় ও শক্তিশালী হচ্ছে এই বলয়টি। রুহুল কবির রিজভী কাউন্সিলে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বা ভালো পদ নিশ্চিত করতে এই তিনজনের গ্রুপটিকে কাজে লাগাচ্ছেন। বিগত ২০১৫ সালের তিন মাসের অবরোধ-আন্দোলনে এই গ্রুপটিই সবচেয়ে সক্রিয় ছিল।

সূত্রমতে, রিজভীর পাশাপাশি এই গ্রুপের সোহেল নিজেকে ঢাকা মহানগরের সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। যদিও মন্তব্য জানতে তার নম্বরে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এই গ্রুপটি আন্ডারওয়ার্ল্ডের সব গ্রুপের সঙ্গে লিয়াঁজো মেইনটেন করে চলে। পুরো বিএনপিতে এই গ্রুপটি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী।

পুরান ঢাকায় বিএনপির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা আজিজ মোহাম্মদ খান। জবি কমিটি তার কনসার্ন ছাড়া হয় না। তার ব্যাক-আপে রাজনীতি করেন যুবদল দক্ষিণ সভাপতি হামিদুর রহমান হামিদ। এছাড়া পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক বলয় তার চাওয়ায় নিয়ন্ত্রিত হয় বলে সূত্র জানায়।

বাড্ডা-গুলশান-শাহজাদপুর এলাকায় দলীয় সার্কেল নিয়ন্ত্রণ করেন আবদুল কাইয়ুম (কাইয়ুম কমিশনার)। বিএনপির নির্বাহী কমিটির এই সদস্য আগামী কাউন্সিলে নিজেকে মহানগর উত্তরে নেতৃত্ব চান। তার নিজস্ব বাহিনী আছে। ছাত্রদল উত্তরের সেক্রেটারি রুবেল তারই সমর্থনে পদলাভ করেছেন বলে দলীয় সূত্র জানায়। রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাসহ নানা অভিযোগ থাকলেও কাইয়ুম কমিশনার নিজের ক্ষমতায় তাকে তুলে আনেন বলে ছাত্রদলের একটি সূত্র দাবি করে। যুবদল সেক্রেটারি সাইফুল আলম নীরব কমিশনারের ব্যাকআপ জোরেই ক্ষমতাশালী। এছাড়া, ঘরোয়াভাবে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নিজস্ব একটি বলয় আছে, যেটি অর্থ, শক্তি ও প্রভাব দিয়ে দলীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা যায়। তবে এই বলয়ের বিস্তারিত গোয়েন্দারা এখনও জানতে পারেনি।

 এ নিয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতাকে কল করা হলে তিনি কমেন্টস দিতে ও নিজের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, থাক, এটা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এজেন্সি অনেক রিপোর্টই দেয়। এটা নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। তবে কাউন্সিলের আগে কমিটিতে ঢুকতে অনেকেই চেষ্টা করে থাকে। এটা ম্যাডাম দেখবেন। আশা করি, যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংম নিয়েছেন, তারাই কমিটিতে আসবেন। অন্য পথে যারা আসতে চান, দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চান, তারা আসলে দলের ক্ষতি। পুরো বিষয়টা চেয়ারপারসন দেখবেন বলে প্রত্যাশা করি।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা