বাংলাদেশ এলডিপি’র চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু দেশের সার্বিক অবস্থার অবনতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, বিগত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকা স্থবির হয়ে পড়েছে। সরকারের প্রত্যক্ষ সমর্থনে কিংস পার্টি বিনা কারণে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে। এসব অপতৎপরতা সরকার বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্তবর্তী সরকার তার অন্তবর্তী কার্যক্রম ফেলে কী কাজে ব্যস্ত রয়েছে, তা দেশবাসী জানতে চায়।
বুধবার (২১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে দলের দুই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশের সামগ্রিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে সরকারের উদাসীনতায়। একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার ক্রাইসিসি ম্যানেজমেন্ট করতে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। উপরন্তু, সরকারের অভ্যন্তরে এখনও কথিত ছাত্রদের দুজন উপদেষ্টা রয়েছেন, আমরা অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে আদালত রায় দিলেও সরকারের ছাত্র উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে তাকে পদায়ন থেকে বিরত রয়েছে মন্ত্রণালয়। এর ফলে ঢাকার নাগরিকরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। সরকার এই ইস্যুতে কোনও আলোচনা করতে পারছে না। কেন এই ইস্যুটি আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করা গেলো না?
বিবৃতিতে বাংলাদেশ এলডিপি’র দুই শীর্ষনেতা বলেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে, দিচ্ছে। সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু এই সমর্থনের অপব্যবহার করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে সরকার। উপরন্তু, সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি রাজনৈতিক দল নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। যা ইতোমধ্যে সুশীল সমাজের বিজ্ঞজনেরা প্রতিবাদ করছেন।
বাংলাদেশ এলডিপি’র চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র চট্রগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাকে বিদেশি সংস্থার কাছে তুলে দেওয়ার সরকারি পাঁয়তারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই— কোনও বিদেশি শক্তির কাছে মাথানত করে বন্দর তুলে দিলে বাংলাদেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে। বিগত দিনের ইতিহাস যদি সরকার ভুলে যায়, তাহলে সামনে অধ্যাপক ইউনূস সরকারের জন্য বিপদ রয়েছে।