জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে জনগণের কাছে সেটি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এনসিপির প্রকৌশল উইংয়ের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
নাহিদ বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে কমিশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। অথচ কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াতেই গলদ রয়েছে। এসব বিষয়ে ফ্যাসিবাদী আমলেই বিরোধিতা করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী কমিশন পুনর্গঠন হওয়ার কথা। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনে নিরপেক্ষ লোকদের দায়িত্ব দিতে হবে। যারা সব পক্ষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার ও বিচার নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা দেখছি বিভিন্ন পক্ষ এটিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। শুধু দেশের নয় বিদেশ থেকেও নানা ধরনের ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে যেভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা হয়েছে, এ সরকারে সময়ে সেগুলো সংস্কার করা হবে এবং ভবিষ্যতে আমরা তা পুনর্গঠন করবো। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে দেখছি, আমাদের গণঅভ্যুত্থানের সে স্বপ্ন যেন অধরাই থেকে যাচ্ছে। এমন শঙ্কাও আমাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে।
প্রকৌশলীদের উদ্দেশে নাহিদ বলেন, আমাদের সামনের লড়াইটাও হবে নদী ও জলবায়ু রক্ষার লড়াই। সে লড়াইয়ে একদিকে যেমন আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতা প্রয়োজন, আরেকদিকে প্রয়োজন অগাধ দেশপ্রেম ও নৈতিকতা। তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এ বিষয়গুলোর সমন্বয় ঘটাতে হবে। প্রকৌশলীরা এ বিষয়ে কাজ করবেন— এটা আমাদের প্রত্যাশা। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেও তাদের জন্য স্পেস করে দিতে হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি সেক্টরভিত্তিক কাজ করবে এবং জুলাই অভ্যুত্থানকে ধারণ করে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। আমরা মনে করি, সংস্কার ও পরিবর্তন করতে হলে সর্ব সেক্টরেই এর বিস্তৃতি ঘটাতে হবে।