অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বিব্রতকর। বাজেভাবে হেরেছে ইংল্যান্ডের কাছে। তবে কানাডার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাকিবুলরা। দূর্দান্ত বোলিংয়ে কানাডাকে ১৩৬ রানে অলআউট করার পর ২ উইকেট হারিয়ে ১১৯ বল হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। জয় থেকে দুই রান দূরে থাকতে আইচ মোল্লার ছক্কা, আর তাতেই ১৩৫ থেকে বাংলাদেশের রান পৌঁছে যায় ১৪১ রানে। ফলে ৮ উইকেটের সহজ জয়ে আত্মবিশ্বাস ফেরালো রাকিবুল-সাকিবরা।
সেন্ট কিটসের কোনারি স্পোর্টস ক্লাবে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৬ রানে ওপেনার মাহফিজুল ইসলামকে (১২) হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে সাজঘরে ফেরেন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। নাবিল ৫২ বলে ৫ চারে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। নাবিল আউট হলেও ওপেনার ইফতেখার হোসেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। সাম্প্রতিক সময়ে বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না ইফতেখার। অবশেষে কানাডার বিপক্ষে খেললেন অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস। ৮৯ বলে ৭ চারে ইফতেখার নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এছাড়া আইচ মোল্লা ২৬ বলে এক ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
কানাডার বোলারদের মধ্যে পরমভীর খারৌদ ও ইথান গিবসন একটি করে উইকেট নিয়েছেন। 
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে কানাডাকে শুরু থেকেই চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। রিপন মণ্ডল-মেহরাবের বোলিংয়ে খেই হারায় কানাডা। দলটির ওপেনার অনুপ চিমা ছাড়া কেউই লড়াই করতে পারেননি। মূলত তার ৬৩ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে কানাডা দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ১১৭ বলে ৭ চারে নিজের ইনিংসটি সাজান উইকেট কিপার এই ব্যাটার।
অনুপ চিমা ছাড়া কানাডার তিন ব্যাটার কোনও রকমে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। কৈরব শর্মা (১৪), মোহিত প্রশার (১২) এবং অধিনায়ক মিহির প্যাটেল (১১) রান করেন। সব মিলিয়ে ৪৪.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে কানাডার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৬ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবাই দারুণ বোলিং করেছেন। সবচেয়ে সফল বোলার রিপন মণ্ডল। এই তরুণ ২৪ রান খরচায় চারটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া অফস্পিনার মেহরাবও ৩৭ রান খরচায় নেন চারটি উইকেট। আশিকুজ্জামান নিয়েছেন দু’টি।
