সুযোগ পেয়েও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই খালেদ আহমেদের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ম্যাথুজ, কিন্তু বাংলাদেশ দলের কেউ-ই বুঝতে পারেননি বল ব্যাটে লেগে গেছে। হয়নি আবেদন, আম্পায়ারও তোলেননি আঙুল। জায়ান্ট স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে ভুল বুঝতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ১৯৯ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ম্যাথুজ। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাঈম হাসান ও ম্যাথুজ জানালেন, তারা কেউই বুঝতে পারেননি এটি আউট ছিল!
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৯৪তম ওভারের খেলা চলছিল তখন, ১১৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন ম্যাথুজ। পঞ্চম ডেলিভারিটি গুড লেন্থে করেন খালেদ। বুক সমান ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে টাইমিং করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটার। বল গিয়ে জমা হয় উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। ম্যাথুজের ব্যাট ছুঁয়ে গেলেও আওয়াজ ছিল না। লঙ্কান এই ব্যাটারের অঙ্গভঙ্গিও স্বাভাবিক ছিল। বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও মনে হয়নি ব্যাটে-বলে হয়েছে। তাই কেউ আবেদন না করে পরের বলের জন্য বল পাঠিয়ে দেন বোলারের কাছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ম্যাথুজের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে বল।
ম্যাথুজ এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না সেটি আউট ছিল, “সত্যি বলতে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। খুব অবাক হয়েছি। কারণ, আমার কানে কিছু আসেনি। আমি লিটনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুমি কিছু শুনেছো কিনা?’ আমি কিছুই শুনতে পারিনি। আমি যেহেতু শুনিনি, আমার মনে হয় না লিটনও শুনতে পেয়েছে।”
নাঈমও জানালেন একই কথা, ‘আসলে ওটার সাউন্ডই পাইনি আমরা। ওটা লেগেছে কিনা সিওর ছিলাম না। বাইরে থেকে মনে হয় অনেক সহজ রিভিউ নেওয়া, কিন্তু যারা মাঝখানে থাকে তাদের জন্য কঠিন। কারণ, একটা বল যেতে তো বেশি সময় লাগে না। মিনি সেকেন্ডের ভেতরে বল চলে যায়। ম্যাথুজ যেটা বলছেন, কেউ বুঝিনি, সাউন্ডই হয়নি।’