X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে কখনোই ভাবিনি এটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ’

রবিউল ইসলাম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৩৪আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:০৮

পাক্কা ১৯ বছর ব্যাট-বলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েও সাফল্য পাননি মাসুদুর রহমান মুকুল। স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ১২টি প্রথম শ্রেণি ও ৩০টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা মুকুলের ক্রিকেট ক্যারিয়ার বড্ড বিবর্ণ। কিন্তু আম্পায়ারিংয়ে সুনাম ঠিকই ছড়িয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। প্রথমবারের মতো মহাদেশীয় কোনও টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তানের মতো ম্যাচ পরিচালনা করে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। তাও আবার এক সপ্তাহের মধ্যে দুইবার! ওই ম্যাচ দুটির সঙ্গে আম্পায়ারিং নিয়ে মুঠোফোনে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠলেন তিনি-

বাংলা ট্রিবিউন: ভারত-পাকিস্তানের দুটি ম্যাচ পরিচালনা। কয়েকদিনের ব্যবধানে দুটো বড় ম্যাচের চাপ সামলানো নিশ্চয় সহজ ব্যাপার ছিল না...

মুকুল: (হাসি) অবশ্যই সহজ কোনও ব্যাপার না। আমার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে আমি ভারতের ম্যাচ কখনও করিনি। পাকিস্তানের ম্যাচ ঘরের মাঠে করেছি। হোম সিরিজ ছাড়া আমি সর্বোচ্চ লেভেলে ম্যাচ করেছি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। এর বাইরে বড় কোনও টুর্নামেন্ট কিংবা ম্যাচ পরিচালনা করিনি। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ করবো, সেটা নিয়ে দেশ ছাড়ার আগেই রোমাঞ্চিত ছিলাম। তবে রোমাঞ্চকর অনুভূতি ভুলে আমি চেষ্টা করেছি চ্যালেঞ্জটা জিততে।

বাংলা ট্রিবিউন: গ্যালারি ভর্তি দর্শক, দুই দল তারকায় ঠাসা- এত বড় ম্যাচ সামলানোর অভিজ্ঞতা আপনার ছিল না। সামান্য হলেও কি ভীতি কাজ করেনি?

মুকুল: সত্যি কথা বলতে প্রথম ম্যাচে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। তবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করার পর আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া আমার বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী, কলিগদের থেকে এত এত ইতিবাচক মন্তব্য পেয়েছি। এর বাইরে যাদের সঙ্গেই কথা হয়েছে, তারা আমার প্রশংসা করেছেন। সবাই ফিডব্যাকটা এত ভালো দিয়েছেন যে, আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এই কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে বিন্দুমাত্র চাপ অনুভব করিনি।

পরিবারের সঙ্গে মাসুদুর রহমান মুকুল বাংলা ট্রিবিউন: এই যে সবার প্রশংসা পাচ্ছেন, কেমন লাগছে? আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় অনেক খুশি?

মুকুল: আমি যে পরিবার থেকে এসেছি, আমার পরিবারে খেলাধুলার প্রচলন খুব একটা নেই। আমিই প্রথম! আমার বড় মেয়ে আমেরিকায় পড়াশোনা করছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে সে বেশ জনপ্রিয়। আমাকে প্রতিদিন ফোন দিয়ে বলে, ‘বাবা তোমার জন্য আমি জনপ্রিয় হয়ে গেছি।’ বাবা হিসেবে এসব শুনতে ভালো লাগে। আমার ছোট মেয়ে ঢাকায় পড়াশোনা করছে। ও স্কুলে গেলে সবাই ওকে বলে, ‘তোমার আব্বুকে দেখলাম।’ সবকিছু মিলিয়ে এসব খুব উপভোগ করি। আমার কলিগরা আমার এই সাফল্যে খুশি। আমার জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- অবশ্যই আমাকে এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। এখন আমাদের দায়িত্ব অনেক। আমরা যারা নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ করছি, তারা যদি ঠিকঠাক কাজগুলো করে যেতে পারি, তাহলে পরবর্তী জেনারেশনের জন্য খুব ভালো হবে।

আপনি তো জানেন, দুবাইতে আইসিসির হেড কোয়ার্টার। তারা খুবই সন্তুষ্ট আমাদের আম্পায়রিং নিয়ে। কালকের (রবিবার) ম্যাচ শেষে বেশ কয়েকজন আম্পায়ার যেমন- আলিম দার, ডেভিড বুনসহ টপ লেভেলের অনেকেই আমাদের মেসেজ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এই জিনিসটা আমার জন্য যতটা ভালো, বাংলাদেশের আম্পায়ারের জন্য ততটাই ভালো।

বাংলা ট্রিবিউন: কিছুদিন আগেও আপনার একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ শেষে আবার প্রশংসায় ভাসছেন। দুটো বিষয়কে কীভাবে দেখছেন?

মুকুল: কালকে (রবিবার) ফেসবুকে দেখছিলাম আমাকে নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিপিএলে আমি একটা মেজর মিসটেক করেছিলাম, আমি তার আগে রাঙামাটির দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ওখানে পাহাড় ট্রেকিং করেছি। আমার ভুলের পর সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ব্যবহার করে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। লেখা হচ্ছিল, সারাদিন পার্টি করেছি, ঘুরেছি- এই কারণে ম্যাচে আমার মনোযোগ ছিল না। কালকের (রবিবার) ম্যাচের পর ওই একই ছবি নিয়ে সবাই প্রশংসা করছে। বিষয়টা নিজের কাছে ভালোও লেগেছে, আবার খারাপও লেগেছে। কালকে (রবিবার) উপলব্ধি করেছি মানুষের জীবনটাই আসলে এ রকমই। কখন আপনার জীবনটা পরিবর্তন হয়ে যাবে, বলা সম্ভব না!

‘সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে কখনোই ভাবিনি এটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ’ বাংলা ট্রিবিউন: পাকিস্তানের ৩ বলে দরকার ২ রান, ওই সময় আসিফ আলীকে আউট দিলেন। সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনার প্রশংসা করা হয়েছিল। চাপের মুহূর্তে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন ছিল?

মুকুল: খুব কঠিন যে ছিল এটা বলবো না। সবার নিজস্ব একটা হোম ওয়ার্ক থাকে। আমি প্রতি বলে মনোযোগ রাখার চেষ্টা করি, ফিল করি এটাই আমার ক্যারিয়ারের শেষ বল। ওভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি কখনোই ভাবিনি এটা ভারত কিংবা পাকিস্তানের ম্যাচ। যদিও ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে এসব চিন্তা আসা অমূলক নয়। তবে আমি যতটা সম্ভব এইসব চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে রাখতে চেষ্টা করি।

বাংলা ট্রিবিউন: ওয়াইড বলে ভারত রিভিউ নিলো, কিন্তু টিভি আম্পায়ার আপনার সিদ্ধান্তেই অটল থাকলেন। ওই সময় রোহিত শর্মা এসে কী বলেছিল আপনাকে?

মুকুল: কোনও প্রশ্নের উত্তর আইন মেনে যুক্তি সঙ্গতভাবে দিতে পারলে এটা নিয়ে বেশি আলোচনা হয় না। ওরা আসলে অল্প কথায় ফ্যাক্টটা জানতে চায়। নন ক্রিকেটীয় কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করলে উল্টো চাপে পড়ে যেতে হবে। ওয়াইড বলে যেটা রিভিউ নিয়েছিল, ভারতের রিভিউ বাতিলের পর রোহিত আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, সাউন্ডটা কীভাব হলো। আমি যেটা বলেছি হতে পারে বাতাস বা অন্য কোনও মাধ্যম থেকে। আমার উত্তরে সন্তুষ্ট ছিল রোহিত।

বাংলা ট্রিবিউন: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

মুকুল: ওরা (ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটার) আম্পায়ারদের সামনে সামান্য কথা বলে, সেই সব কথায় ভার থাকে অনেক। কথাগুলো বেশ শক্ত থাকে। কিন্তু শরীরী ভাষাতে আক্রমণাত্মক কিছু থাকে না। ওদের ক্যাপ্টেনস রিপোর্ট এত শক্তিশালী, বল বাই বল ওরা রিপোর্টে উল্লেখ করে। আমাদের ক্যাপ্টেনস রিপোর্টের যদি উদহারণ দেই, তাহলে সেখানে দিয়ে রাখবে রান আউট, স্টাম্পিং কিংবা এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার। আর ওরা বিস্তারিত ব্যাপারটাই তুলে রাখবে। ওদের ক্যাপ্টেনস রিপোর্টের সঙ্গে ম্যাচ রেফারির রিপোর্টে অনেক বেশি অমিল হলে ম্যাচ রেফারি ক্যাপ্টেনকে ডাকে। এই জিনিসটা আমাদের দেশে হয় না।

ম্যাচ পরিচালনার সময় মাসুদুর রহমান মুকুল বাংলা ট্রিবিউন: ঘরোয়া ক্রিকেটের কারণে আপনাদের (আম্পায়ারদের) ইমপ্রেশন খারাপ হচ্ছে। আইসিসির এলিট প্যানেলে ঢুকতে না পারার এটা কি একটি কারণ?

মুকুল: আম্পায়াদের ব্যাপারে সবসময় নেতিবাচক ধারণা পোষণ করা হয়। এত সমালোচনা হয়, আইসিসির একটা ধারণা হয়ে গেছে বাংলাদেশি আম্পায়ারদের কন্ট্রোলিং পাওয়ারটা কম। সবকিছু মিলিয়ে কিছু চাপ তৈরি হয়। তবে এটাই মূল কারণ নয়। শুধু শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটের ওপর দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদেরও দুর্বলতা আছে। আমাদের নিজেদের যেভাবে তৈরি করা দরকার, আমাদের যারা তৈরি করবে- সব জায়গায় কমবেশি লেকিংস আছে।

বাংলা ট্রিবিউন: তাহলে এই ঘাটতি কী করে দূর করা সম্ভব?

মুকুল: আমাদের সাকিব-তামিমরা আসার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভ্যালুটা বেড়ে গেছে। আমরা আম্পায়াররা আগে সেভাবে কখনোই সুযোগ পাইনি। ভাগ্যক্রমে আমি, সৈকত, সোহেল বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছি। আমরা যারা আছি, তারা এই সুযোগগুলো ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের পরবর্তী জেনারেশন ফলটা পাবে।

বাংলা ট্রিবিউন: আলোচনা আছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের স্কিলের ঘাটতির কারণেই বাংলাদেশি কোনও আম্পায়ার এলিট প্যানেলে নেই। ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?

মুকুল: দেখেন, আমরা যখন বড় কোনও কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারবো না, তখন অজুহাত হিসেবে আমরা ছোট ছোট অনেক বিষয় সামনে আনবো। কমিউনিকেশন স্কিল অবশ্যই যত ভালো হবে, আম্পায়ার হিসেবে মাঠে তত সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে মাঠে তো আম্পায়াররা গল্প করতে যায় না, ক্রিকেটীয় কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ আছে, যেগুলো দিয়েই চালিয়ে নেওয়া য়ায়। ইংরেজি ভাষা যদি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হতো, তাহলে তো আলিম দার এত ভালো করতে পারতো না কিংবা শ্রীলঙ্কার কুমারা ধর্মসেনা রেকর্ড সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ আম্পায়ারিং করতে পারতো না!

আরেক আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকতের সঙ্গে মাসুদুর রহমান মুকুল বাংলা ট্রিবিউন: ভারত-পাকিস্তানের দুটো ম্যাচ সফলভাবে পরিচালনা করেছেন। এবার নিশ্চয় আইসিসির চিন্তা-ভাবনা পাল্টাবে...  

মুকুল: করোনার সময় হোম সিরিজগুলো আমরা চারজন পরিচালনার সুযোগ পেলাম। আমাদের কাজ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ সবাই খুব প্রশংসা করেছে। এমনকি আইসিসি আমাদের মেইলের মাধ্যমে প্রশংসা করেছে, ‘তোমার খুব ভালো করেছো।’ আমরা তো সবাই প্রত্যাশা করি আমরা এলিট প্যানেলে যাবো, বড় বড় টুর্নামেন্টে কাজ করবো। ওখানে যাওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যে কাজগুলো করা দরকার, সেগুলো গত তিন বছরে স্টেপ বাই স্টেপ করে যাচ্ছি। এখন এটা আইসিসির ব্যাপার। আমরা তখনই হতাশ হবো, যখন দেখবো এভাবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করার পরও এলিট প্যানেলে জায়গা পাচ্ছি না।

বাংলা ট্রিবিউন: আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেননি। এ নিয়ে কোনও আক্ষেপ আছে?

মুকুল: খুব দুঃখ নেই। নিজের প্রতি নিজের কষ্ট আছে। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ১৯ বছর। আমি কখনোই বাংলাদেশের লোগো সংবলিত টি-শার্ট কিংবা গেঞ্জি নিজের যোগ্যতায় পরিনি। প্রথম দিন আমি যখন আম্পয়ারিং কোর্স শুরু করি, তখন আমাকে একটা জার্সি দেওয়া হয়। সেই জার্সিতে বাংলাদেশ দলের লোগো লাগানো। অথচ ১৯ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আমি বাংলাদেশের লোগোর জার্সির জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু যোগ্যতার অভাবে পাইনি। প্রথম আম্পায়ারিংয়ে নাম লিখিয়ে নিজের যোগ্যতায় সেটি পাই। তখন থেকেই পরিকল্পনা করি আম্পায়ারিং করবো।

এখন আর কোনও আক্ষেপ নেই। যখন দেশের বাইরে ম্যাচ কভার করতে যাই, তখন কিন্তু পতাকাটা আমরাও ক্যারি করি। সবাই আমাদের দেখে বলে বাংলাদেশি আম্পায়ার।

/কেআর/
সম্পর্কিত
‘ভয়ঙ্কর’ ভারতের প্রশংসা করলেন শোয়েব
ম্যাচসেরার পুরস্কারের টাকা নিলেন না সিরাজ
স্বপ্নের মতো লাগছে: সিরাজ
সর্বশেষ খবর
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ