চিটাগং কিংসের দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে যায়। আগে ব্যাটিং করে চিটাগং ১৯৬ রান তোলে। জবাবে খেলতে নেমে সিলেট অলআউট হয় ১০০ রানে। ফলে ৯৬ রানের বড় জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলে চিটাগং। শুধু প্লে-অফই নয়, তাদের সামনে সুযোগ পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় দল হয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার। বরিশালের বিপক্ষে শনিবার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে চিটাগং। ওই ম্যাচে জিততে পারলেই বরিশালের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ মিলবে চিটাগংয়ের।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে চিটাগং প্রায় দুইশ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে খেলতে নেমে সিলেট দ্বিতীয় ওভার থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। বিশেষ করে পেসার খালেদ ও শরিফুলের গতির কাছে পরাস্ত হন জাকের আলী-জাকির হাসান-রনি তালুকদাররা। সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে জাকিরের ব্যাট থেকে। ১৭ করে রান করেন রনি ও জাকের। এর বাইরে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন নাহিদুল ইসলাম (১৪) ও আরিফুল হক (১১)। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত সিলেট ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে একশ ছুঁয়ে অলআউট হয়।
চিটাগংয়ের বোলারদের মধ্যে শরিফুল ৫ রানে নেন চারটি উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ম্যাচ সেরা হন তিনি। খালেদ ৩১ রানে নেন চারটি উইকেট। এছাড়া রাহাতুল ফেরদৌস একটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় চিটাগং। ১৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় তারা। এরপর টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা খাজা নাফায়ে ও মোহাম্মদ মিঠুন মিলে প্রতিরোধ গড়েন। ৫১ বলে তাদের ৯১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিতটা তৈরি হয়ে যায়। ছয় ছক্কা ও এক চারে ৩০ বলে ৫২ রান করে খাজা আউট হলে জুটি ভাঙে। এরপর হায়দার আলী (৯), মোহাম্মদ মিঠুন (৫২) ও রাহাতুল ফেরদৌস (৪) সাজঘরে ফেরেন। খাজার মতো চিটাগংয়ের অধিনায়ক মিঠুনও ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে শামীম হোসেনের ২৩ বলে ৩৮ এবং খালেদ আহমেদের ১৩ বলে ২৫ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে চিটাগং ৮ উইকেট হারিয়ে সিলেটকে ১৯৭ রানের লক্ষ্য দেয়।
সিলেটের বোলারদের মধ্যে তানজিম হাসান সাকিব ৩৭ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া রুয়েল মিয়া ও সামিউল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট নেন সুমন খান।
এর আগে রংপুর রাইডার্স ও বরিশাল প্লে-অফের টিকিট কাটে। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চিটাগং। শেষ দল হিসেবে প্লে-অফের লড়াইয়ে দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্স। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে রাজশাহী। শেষ ম্যাচে ঢাকাকে হারাতে পারলে তাদের টপকে পরের পর্ব নিশ্চিত করতে পারবে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা খুলনা।