দুই বছর আগে কাফ মাসলের চোটে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের সময় দলের সঙ্গে থাকতে পারেননি জশ হ্যাজলউড। সেই আক্ষেপ এখনো তাড়া করে ফেরে অজি পেসারকে। তাই এবার যখন অস্ট্রেলিয়া শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামছে, তখন আর কোনও হৃদয়ভাঙার যন্ত্রণায় পুড়তে রাজি নন তিনি।
আগামী বুধবার লর্ডসে শুরু হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল- যেখানে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচের জন্য অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণে শেষ জায়গাটি নিয়ে লড়াই চলছে হ্যাজলউড ও স্কট বোল্যান্ডের মধ্যে।
৩৪ বছর বয়সী হ্যাজলউড একটু দেরিতে ইংল্যান্ডে পৌঁছেছেন। কারণ তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে প্রথম আইপিএল শিরোপা এনে দিতে বল হাতে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। হ্যাজলউড বলছিলেন, ‘গতবার খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলাম। তবে এবার নিজেকে অনেক বেশি প্রস্তুত মনে হচ্ছে। গত দুই বছরে সব ফরম্যাটে আমার পরিসংখ্যান বেশ ভালো, যা আমাকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।’
হ্যাজলউড মনে করেন, ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন তিনি, ‘দক্ষতা ও ধারাবাহিকতার দিক থেকে এই মুহূর্তে আমি ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছি। এখন শুধু শরীরটা ঠিকঠাক রাখতে পারলেই আশা করছি ভালো কিছু হবে—গত কয়েক মাসে যেটা ঠিকই ছিল।’
আইপিএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তিনি, কিন্তু এবার তাকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ভারতীয় কন্ডিশন থেকে সরে এসে ইংল্যান্ডের সবুজ উইকেট আর লাল বলের ধৈর্যের খেলায় মানিয়ে নিতে হবে। হ্যাজলউড মনে করেন, লেন্থ ঠিক করাটাই এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, ‘আইপিএলে পাওয়ারপ্লেতে সাধারণত সাত থেকে নয় মিটার দৈর্ঘ্যে বল করতাম, যেখানে টেস্টে বিশেষ করে ইংল্যান্ডে, স্টাম্পে আঘাত করাটা খুব জরুরি। তাই এবার লেন্থটা একটু এগিয়ে এনে ব্যাটসম্যানকে পরীক্ষা করবো, সঙ্গে সেই চেনা গতি ধরে রাখার চেষ্টাও থাকবে।’