আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর ম্যাচ হলো। এক দল গোল করার পর আরেক দল শোধও দিলো। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ম্যাচটি জিতেছে সাইফ স্পোর্টিং। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ফিরতি পর্বে রোমাঞ্চকর ম্যাচে সাইফ ৪-৩ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গোল হয়েছে মাত্র একটি। দুই দল সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পেরেছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল। বিরতির আগ মূহূর্তে গোলের দেখা পায় শুধু সাইফ। বাঁ দিক থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের নিচু ক্রসে গোলমুখ থেকে নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন এমেকা ওগবাগ। তার গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকলেও বল আটকাতে পারেননি কেহিন্দে ইসা। বিরতির পর গোল হয়েছে ৬টি!
৫৭ মিনিটে সমতা ফেরায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বল নিয়ে বক্সে ঢোকা ক্যান্ডি দুই ডিফেন্ডারকে ডজ দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর গোলমুখে কাট ব্যাক করেন। ডাইভিং হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আফগান মিডফিল্ডার ওমিদ পোপালজাই। তার পর ৬৪ মিনিটে ব্যবধানও বাড়ায় তারা। সাইফের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্টে জালে বল জড়ান ক্যান্ডি।
তার পরেও হতোদ্যম হয়নি সাইফ। দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৭২ মিনিটে বদলি নামা নিহাত জামান উচ্ছ্বাসের পাসে দূরের পোস্টে পা লাগিয়ে জাল খুঁজে নেন ফাহিম। ৭৪ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার বুদ্ধিদ্বীপ্ত পাসে বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে বাম পায়ের জোরাল শটে দলকে এগিয়েও নেন এই ফরোয়ার্ড।
শেষ দিকে ৮৬ মিনিটে থ্যাঙ্কগড স্পট কিক থেকে গোল করলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় চট্টগ্রাম। বক্সে নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে গোলরক্ষক মিতুল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
তখনও গোল-ক্ষুদা মেটেনি দুইদলের। বক্সে ফাহিমকে যোগ করা সময়ে গোলরক্ষক ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সাইফ। এমেরি বাইসেঙ্গে স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করলে জয় নিশ্চিত হয় তাদের।
দিনের অন্য ম্যাচে কাতার প্রবাসী ওবায়দুর রহমান নবাবের দেওয়া একমাত্র গোলে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে হারিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।
এই জয়ে সাইফ ১৬ ম্যাচে ৯ জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সমান ম্যাচে চতুর্থ হারে আগের ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম। মুক্তিযোদ্ধা ১৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১০ম ও সমান ম্যাচে স্বাধীনতা আগের ৬ পয়েন্টে তলানিতে অবস্থান করছে।