প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে প্রথম পর্বে ফর্টিস এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। তবে ফিরতি পর্বে এসে একই দলের বিপক্ষে কষ্টে জিততে হলো অস্কার ব্রুজনের দলকে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগেল দামাসেনোর লক্ষ্যভেদে কিংস ১-০ গোলে হারিয়েছে ফর্টিসকে।
শনিবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামে আক্রমণে এগিয়ে ছিল কিংস। কিন্তু এই অর্ধে এক গোলের বেশি আদায় করতে পারেনি।
পঞ্চম মিনিটে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন দোরিয়েলতন গোমেজ। মাসুক মিয়া জনির লম্বা করে পাসে অফসাইড ফাঁদ ভেঙে ফাঁকায় বল পেয়ে যান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। হাওয়ায় ভাসানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে দোরিয়েতলনের করা ভলি অবশ্য জাল খুঁজে পায়নি।
ফর্টিসের ওপর চাপ ধরে রেখে ২৩ মিনিটে গোল পেয়ে যায় কিংস, রাকিব-দোরিয়েলতন-মিগেলের সমন্বয়ে। শেষটায় বক্সের ভেতরে দোরিয়েলতনের দারুণ এক পাসে বাইরে থেকে মিগেল দারুণ এক শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন।
৩৫ মিনিটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। মাঝ মাঠে ফর্টিসের সবুজ হোসেন পেছন থেকে ট্যাকল করে ফেলে দেন মিগেলকে। মিগেল তা ভালোভাবে নেননি। মেজাজ হারিয়ে তখনই উঠে দাঁড়িয়ে সবুজের গলা চেপে ধরেন! এনিয়ে দুই পক্ষ হাতাহাতি ও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। খেলা বন্ধ ছিল ৫ মিনিটের মতো। পরে রেফারি ভুবন মোহন তরফদার দুই সহকারীর সঙ্গে কথা বলে সবুজ, মিগেল ও বিশ্বনাথকে হলুদ কার্ড দেখান। মিগেল কিংবা অন্য কাউকে লাল কার্ড দেখানোর প্রয়োজন মনে করেননি!
বিরতির পর খেলা জমে ওঠার আভাস মেলে। দুই পক্ষ গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু এই অর্ধে কোনও গোলই হয়নি।
৪৮ মিনিটে ফরহাদ মিয়ার জোরালো শট সরাসরি আনিসুর রহমান জিকো তালুবন্দি করেন। একটু পর সোহেল রানার শট গোলকিপার গ্রিপে নেন।
শেষের দিকে ফর্টিস চেষ্টা করেও পারেনি সমতায় ফিরতে। জিকো হাত উঁচিয়ে একটি গোলের সুযোগ ঠেকান। এছাড়া দোরিয়েলতন গোলকিপারকে একা পেয়ে লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি।
লিগে কিংস ১২ ম্যাচে ১০ জয়ে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। সমান ম্যাচে ফর্টিস এফসি পঞ্চম হারে আগের ১৩ পয়েন্টে ষষ্ঠ স্থান ধরে রেখেছে।