কেঁদে বুক ভাসালেন ব্রাজিলের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা মার্তা। স্পেনের বিপক্ষে অলিম্পিকে নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে সরাসরি লাল কার্ড দেখার পর কান্না ধরে রাখতে পারেননি অধিনায়ক। সম্ভবত জাতীয় দলের জার্সিতে এটাই মেজর টুর্নামেন্টে তার শেষ ম্যাচ।
মার্তার কান্নার দিনে বোর্দোতে স্পেনের কাছে ২-০ গোলে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি হেরেছে ব্রাজিল। ‘সি’ গ্রুপে তারা ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। এখন তারা দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করবে, সেরা দুটি তৃতীয় দলের একটি হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারে কি না।
ব্রাজিলের হয়ে ২০০তম ম্যাচ খেলা মার্তা প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন। লাফিয়ে বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে তার পা স্পেনের ওলগা কারমোনার মাথায় অল্পের জন্য না লাগলেও বিপদজনক ট্যাকেল করেন। রেফারি নির্দ্বিধায় লাল কার্ড দেখান। বেশিক্ষণ তার সঙ্গে আলাপ করার সময় পাননি মার্তা। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন ছেলে ও মেয়েদের বিশ্বকাপ মিলিয়ে রেকর্ড ১৭ গোল করা মার্তা।
মার্তার লাল কার্ডের সময় স্কোর ছিল গোলশূন্য। পরে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেছে স্পেন। তাদের সঙ্গে জাপান কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
আর ব্রাজিল যদি শেষ আটে ওঠেও, মার্তা খেলতে পারবেন না। সেলেসাওদের হয়ে রেকর্ড ১১৯ গোল করা মার্তা কখনও অলিম্পিক স্বর্ণ জেতেননি, পাননি বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদও। ২০০৪ ও ২০০৮ সালের অলিম্পিকে ফাইনালে খেলে হেরে যায়, ওই দুটি রৌপ্য পদকই মার্তার সেরা সাফল্য।
এই বছর শেষে মার্তা আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। তাতে করে রেকর্ড ষষ্ঠ অলিম্পিক ও ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলেও অপ্রাপ্তি নিয়ে ২৪ বছরের ক্যারিয়ার শেষ করতে হচ্ছে তাকে।
অবশ্য ২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল হওয়ায় মার্তার অবসর ভাঙার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর আগে তার স্বদেশী ক্রিস্টিয়ান ও ফর্মিগা অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে ঘুরে দাঁড়ান। এখন দেখার অপেক্ষা ৩৮ বছর বয়সী মার্তা ঘরের মাঠে প্রথম ও ক্যারিয়ারের সপ্তম বিশ্বকাপে খেলেন কি না!