এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাইপর্বের জন্য বাংলাদেশ দলে আছে বসুন্ধরা কিংসের ছয় খেলোয়াড়। কিন্তু অনুশীলন ক্যাম্পে মাত্র দুজনকে পাঠানোয় ক্ষুব্ধ হন সাফ জয়ী কোচ মারুফুল হক। বাকি চার জনকে না পাঠানোয় বাকি দুজনকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। এই ঘটনায় কিংস সোমবার সকালে বাফুফেকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, মারুফুল কোচ থাকলে ভবিষ্যতে নিজেদের কোনও খেলোয়াড়কে সেই দলের জন্য ছাড়বে না তারা।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেননি মারুফুল। তিনি সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে প্রতিবাদ পত্র পাঠান, ‘একটি বয়সভিত্তিক জাতীয় দল সাফ অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর যেখানে মোহামেডান, আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ নিজেদের খেলোয়াড়দের বিষয়ে কোনও আপত্তি না জানিয়ে তাদের খেলোয়াড়দের দেশের পক্ষে জান উজাড় করে খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে, সেখানে বসুন্ধরা কিংস কীভাবে নিজেদের খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে খেলার বিষয়ে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে দূরে রাখে?’
কিছুদিন আগে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা কোচের প্রশ্ন, একজন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের কোচের আচরণবিধি কেমন হবে, তিনি সেটি লঙ্ঘন বা অমান্য করেছেন কি না, সেটি কি কোনও ক্লাব বলার এখতিয়ার রাখে? তিনি লিখেছেন, ‘একটি জাতীয় দলে কারা খেলবে, কারা অন্তর্ভুক্ত হবে, সেটি নির্ধারণ করবেন হেড কোচ। মূল স্কোয়াড থেকে কোনও খেলোয়াড়কে বাদ দিলে সেটা অসৌজন্যমূলক আচরণ হয়, এমন নজির আমার কর্মজীবনে কোথাও দেখি নাই।’
কিংসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মারুফুল, ‘একজন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের কোচের আচরণবিধি কেমন হবে, তিনি সেটি লঙ্ঘন বা অমান্য করেছেন কি না, সেটি কি কোনও ক্লাব বলার এখতিয়ার রাখে? বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আমাকে সবার সামনে হেয় করার যে প্রয়াস, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের বক্তব্য যদি বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষ প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’
মারুফুল তার চিঠিতে জানান, এএফসির কাছ থেকে দল ঘোষণার ডেডলাইন সন্নিকটে, তাই অনুশীলনে যোগ দেওয়া কিংসের দুই খেলোয়াড় মহসিন ও আসিফকে বাদ দিতে হয়েছে। ২৩ জনের স্কোয়াডে অপেক্ষাকৃত ম্যাচ ফিট খেলোয়াড়দেরই রেখেছেন বলে দাবি তার।
তবে দলের স্বার্থে কোচের পদ ছাড়তে দ্বিতীয়বার ভাববেন না তিনি, ‘আমি কখনও কোনও ক্লাব বা জাতীয় দলের কোচের পদের জন্য লালায়িত নই। আমি অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচের পদ থেকে সরে গেলে, বসুন্ধরা কিংস যদি তাদের খেলোয়াড়দের ছাড় দেয়, তবে আমার দেশের ফুটবলের স্বার্থে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে কোয়ালিফাই করার স্বার্থে, আমি অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচের পদ ছেড়ে দিতে প্রস্তুত।’