ফুটবলে এখন দারুণ সময় যাচ্ছে। হামজা চৌধুরী ও ফাহামিদুলরা আসায় লাল সবুজ দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। ভুটান, সিঙ্গাপুর ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দল নতুন অভিযানে। বুধবার ভুটান পরীক্ষা। তার আগেই আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজা- ফাহামিদুলদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা গোলকিপার আমিনুল হক। যার ২০০৩ সাফ ও ২০১০ এসএ গেমসে শিরোপা জেতার সুখকর অভিজ্ঞতা রয়েছে।
অনুশীলন শুরুর আগে মাঠে আমিনুল হামজার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে হামজা-ফাহামিদুলের কথা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ফুটবলপ্রিয়। নিজেদের মাটিতে জয় দেখতে চায়। হামজা আমাকে আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ দলের টিমওয়ার্ক ভালো রয়েছে। একটি ভালো ম্যাচ খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আশা।’
আমিনুলের ক্যারিয়ারে সোনালি সময় কেটেছে এই স্টেডিয়ামে। প্রায় এক দশক পর সেখানে ফিরে স্মৃতিকাতর তিনি, ‘এখানে আমি ১৭ বছর খেলেছি। অনেকদিন পর ফিরে মনে হচ্ছে যেন খেলোয়াড়ি জীবনে ফিরে গেছি। অনেক সাবেক ফুটবলার, সংগঠক ও সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগছে।’
ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ে আমিনুলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। সাবেক এই তারকা ফুটবলার তার স্মরণীয় স্মৃতি তুলে ধরে বলেছেন, ‘যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি এই সামনের পোস্টের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাফ ফুটবলের ফাইনালে মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল সেভ করেছিলাম। পরের শটে সুজন গোল করলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয় ও পুরো স্টেডিয়াম গর্জে ওঠে।’
অনুশীলন দেখার ফাঁকে টিকিট নিয়ে আমিনুল আফসোস করে বলেন, ‘আমি এখনও টিকিট কিনতে পারিনি এবং সৌজন্য টিকিটও পাইনি।’ এরপরও তিনি ছেলেকে নিয়ে ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখার প্রত্যাশা করছেন, ‘শত ব্যস্ততার মাঝেও একজন সাবেক জাতীয় ফুটবলার হিসেবে আজ অনুশীলন দেখতে এসেছি। আশা করছি ২-১টি টিকিট পাবো, যাতে ছেলেকে নিয়ে ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখতে পারি।’
সাবেক জাতীয় অধিনায়ক আমিনুল বাফুফের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাফুফে সভাপতিকে আমি অনুরোধ করবো ফুটবলের যারা স্টেকহোল্ডার, বিশেষ করে ক্লাব কিংবা সংগঠকরা আছেন, তারা যেন খেলা দেখতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার জন্য।’
সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট এখন সোনার হরিণের মতো। টিকিট না পেয়ে বাংলাদেশ আলট্রাসের সদস্যরা বাফুফে ভবনের গেটে অবস্থান করে আছে। অনেকে টিকিট না পেয়ে নানান অভিযোগ করে আসছে। হামজা-ফাহামিদুলরা আসায় ফুটবলের প্রতি প্রত্যাশা বেড়েছে বহুগুণ, এসব তারই প্রমাণ।