আবুধাবি টেস্টের মতো দুবাইতেও স্পিনারদের কাছে তটস্থ পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। শ্রীলঙ্কার ৪৮২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে তারা অলআউট ২৬২ রানে। লঙ্কানরা ২২০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে। কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়েছে তারা, ৫ উইকেটে ৩৪ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য ২৫৪ রানে এগিয়ে থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই।
৫১ রানে রবিবার খেলা শুরু করে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। আগের দিন ১৮ ওভারে কোনও উইকেট হারায়নি দলটি। তবে নতুন দিন ১০ রান যোগ করতেই তাদের প্রথম উইকেট চলে যায়। ডানহাতি পেসার লাহিরু গামাগে বোল্ড করেন শান মাসুদকে (১৬)।
এরপরই স্পিনারদের দাপট, যাতে সমানতালে অবদান রেখেছেন রঙ্গনা হেরাথ ও দিলরুয়ান পেরেরা। ৬১ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ৬৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। পেরেরার এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন সামি আসলাম (৩৯)।
আসাদ শফিক (১২) ও বাবর আজম (৮) বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। বাজে ব্যাটিংয়ের মাঝে আশার আলো জ্বালান আজহার আলী ও হারিস সোহেল। তাদের ৭১ রানের জুটিই ছিল ইনিংস সেরা।
এই জুটিকে বেশি শক্ত হতে দেননি হেরাথ। আজহারকে ৫৯ রানে এলবিডাব্লিউ করেন লঙ্কান স্পিনার। পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাঝে সম্ভাবনাময়ী ব্যাটিং করেন হারিস। পেরেরার শিকার হওয়ার আগে ৫৬ রান করেন তিনি।
স্পিনাররা ম্যাচে দাপট দেখালেও পাকিস্তানের শেষ দুই উইকেট গেছে পেসারদের দখলে। গামাগে ও সুরাঙ্গা লাকমল শেষ দুই ব্যাটসম্যান ওয়াহাব রিয়াজ ও ইয়াসির শাহকে ফেরান। ৯০.৩ ওভারে অলআউট হয় পাকিস্তান।
শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাবের তোপে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ধস শুরু হয় ২২ থেকে ৩৪ রানের মধ্যে। এই ১২ রান তুলতে গিয়ে আরও চার উইকেট নেই তাদের। প্রথম ইনিংসে ৪ রানের জন্য দিমুথ করুনারত্নেকে ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেননি ওয়াহাব। দ্বিতীয় ইনিংসেও পাকিস্তানের এ পেসারের কাছে বোল্ড হলেন লঙ্কান ওপেনার। মাত্র ৭ রানে তাকে ফেরানো ওয়াহাব ৩.৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন।
