X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবলের সঙ্গে থাকতে পরদেশে জুয়েল রানার ‘কঠিন লড়াই’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১০ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৩৪আপডেট : ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৩৪

ফুটবলের সঙ্গে থাকতে পরদেশে জুয়েল রানার ‘কঠিন লড়াই’ খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিংকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে সাফ গেমস (এসএ গেমস) ফুটবলে স্বর্ণ জেতা জুয়েল রানা। ওই টুর্নামেন্টের অধিনায়ক এখন বিদেশ বিভুঁইয়ে। গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন সাবেক এই ডিফেন্ডার এবং ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে স্থায়ীভাবে থাকা শুরু করেছেন। বাংলাদেশ ছেড়েছ্নে ঠিকই, কিন্তু ফুটবলকে ভুলতে চান না। নিউ ইয়র্কেও চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং জীবনটা নতুন করে শুরু করতে।

এজন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে জুয়েলকে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় পেশাদার কোচ হওয়া কঠিন। মেজর সকার লিগে (এমএলএস) নিউ ইয়র্কের রেড বুলস হলো একমাত্র দল, যাদের একাধিক একাডেমি আছে। জুয়েল চাইছেন তারই কোনও একটিতে কাজ করতে।

পথটা যে সহজ নয় মেনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই সাবেক তারকা। এরই মধ্যে নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের একাডেমির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তারা জানিয়েছে, এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পাশাপাশি ‘বড় পরীক্ষা’ দিয়ে সেখানে কোচ হওয়ার সুযোগ পেতে হবে। সেটা জেনেই অপেক্ষায় আছেন জুয়েল।

নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে ফোনে তিনি বলেছেন,‘ নিউ ইয়র্কে এসে ফুটবল ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছি না। কিন্তু এখানে পেশাদার ভিত্তিতে ফুটবল কোচিংয়ের জায়গা ততটা বড় নয়। মেজর সকার লিগে নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের কোনও একাডেমিতে যদি সুযোগ হয়। তারা আগামী সেপ্টেম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে।’

এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ জুয়েল ইচ্ছে করলেই বিভিন্ন স্কুল কিংবা কলেজের ফুটবল টিমের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। কিন্তু শৌখিন ফুটবলের কোচ হতে তার আপত্তি, ‘এখানে ডে-কেয়ার সেন্টার কিংবা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে ফুটবল শেখানোর জন্য কোচ হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে। কিন্তু সেটা পুরোপুরি শৌখিন। এভাবে কাজ করে কোনও লাভ নেই। হয়তো পারিশ্রমিক পাবো, কিন্তু মনের সন্তুষ্টি মিলবে না। তাই রেড বুলসের একাডেমির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সব ধরনের পরীক্ষা দেবো। দেখা যাক কী হয়।’

তবে রেড বুলসের হয়ে কাজ করা অনেক কঠিন জানেন জুয়েল, ‘ওখানে স্প্যানিশ কোচদের আধিপত্য। বাংলাদেশ থেকে কোচ হিসেবে চাকুরি পাওয়াটা বেশ কঠিনই। তারপরেও চেষ্টা থাকবে কিছু একটা করার। নয়তো অন্য পেশা ছাড়া তো উপায় নেই।’

নিউ ইর্য়কে গিয়ে সাবেক সতীর্থ খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখাও হয়েছে। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছেন সাবেক তারকা রুমি করিম, মামুন জোয়ার্দার, ইমতিয়াজ নকীব ও মিজানদের সঙ্গে। এক অর্থে সময়টা তার মন্দ কাটছে না। তবে বাংলাদেশের ফুটবল জগৎ যে ভুলতে পারছেন না জুয়েল। মন পড়ে আছে এখনও সেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে!

/টিএ/এফএইচএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক