ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে স্বস্তির জয় পায় তারা। ব্যাটসম্যানদের এই দুঃসময়ে তাদের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি।
গত বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে কেবল ঝলমলে ছিলেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কায় তাকে ছাড়া ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ব্যাটসম্যানদের বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে। সবশেষ আফগানিস্তানের কাছে টেস্টেও নখদন্তহীন ছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে শুরু করলেও দুশ্চিন্তা কমাতে পারেননি সৌম্য-লিটনরা। এই ব্যর্থতাতেও তারা পাশে পাচ্ছেন ব্যাটিং কোচকে।
ব্যাটসম্যানদের ওপর আস্থা ধরে রাখতে হবে মনে করেন ম্যাকেঞ্জি, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। কেউই এখানে সবসময় ভালো রান করতে পারবে না। সাকিবকে দেখুন, দুর্দান্ত বিশ্বকাপ কাটিয়েছে। অনেক ছেলেই আছে যারা গত ৬ মাসে অনেক ভালো খেলেছে। কিন্তু যখনই তারা কয়েকটি ম্যাচে খারাপ করেছে তখন সবাই উত্তেজিত ও হতাশ হয়ে পড়ছে। আসলে এই মেধাবী ক্রিকেটারদের ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। তাহলেই তারা খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে পারবে।’
বাংলাদেশের পাইপলাইন নিয়ে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত হলেও ম্যাকেঞ্জির মতে, অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় থাকায় নাকি সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অনেক লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ আছে এবং পুরো দলের ওপরই যথেষ্ট আস্থা আছে। সবচেয়ে বড় যে চিন্তা আমাদের পেয়ে বসেছে, তা হলো আমাদের এই মুহূর্তে অনেক বেশি ভালো খেলোয়াড় আছে। এখন শুধু ধারাবাহিকতাটা আমরা খুঁজছি। তাদের সামর্থ্য নিয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই। যখন প্রথমদিকের সবাই ব্যর্থ হয়, দল হিসেবে অবশ্যই কাউকে দায়িত্বটা নিতে হয়। আর সেটাই ভালো দলগুলো করে থাকে। যখন টপ অর্ডারে ভালো কিছু হয়না, তখন ৭ ও ৮ নম্বরে দারুণ কিছু করে। গত ম্যাচে সেটাই হয়েছে। কোচদের জন্য এমনটা দেখা খুবই আনন্দের।’
ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও তাদের পাশে সবসময় থাকতে চান ম্যাকেঞ্জি, এমনকি সবার কাছ থেকেও সমর্থন আশা করেন তিনি, ‘তারা যন্ত্র নয়, মানুষ। আমরা সবসময়ই দলের পাশে থাকবো এবং সমর্থন দেবো। এমনকি আমরা যদি কালকের (রবিবার) ম্যাচ হেরেও যাই, আমরা পরবর্তী ম্যাচ জিততে পারি। আমরা হারতে নামি না। প্রত্যেকেই জিততে চেষ্টা করে। হেরে গেলেও তাদের পাশে থাকাটা জরুরী।’
আফিফ-মোসাদ্দেকের ৮২ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ৩ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায়। বিশেষ করে আফিফের ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস ছিল অসাধারণ। দুই ব্যাটসম্যানের প্রশংসায় কার্পণ্য করলেন না ম্যাকেঞ্জি, ‘খুবই ভালো লাগছে যে প্রায় দুই বছর পর আফিফের দারুণ প্রত্যাবর্তন হয়েছে। সৈকতের (মোসাদ্দেক হোসেন) সঙ্গে সে সত্যিই পরিণত এক ইনিংস খেলেছে। এটা দেখাও দারুণ ব্যাপার।’